সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। শাসকদলের ‘নীরবতা’ নিয়ে সরব হচ্ছিল বিরোধীদের একটা অংশ। এর অন্যতম কারণ ছিল এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মুখ না খোলা। অবশেষে মহুয়া ইস্যুতে নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক। বুঝিয়ে দিলেন, কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশেই আছেন তিনি। তবে, বিজেপির তৈরি চক্রব্যুহ থেকে বেরনোর লড়াইটা তাঁর একার। আর এই লড়াইটা লড়তে হবে তাঁকেই।
বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে বেরিয়ে মহুয়া ইস্যুতে অভিষেক ফের প্রতিহিংসার অভিযোগ তুললেন। বলে গেলেন,” সরকারের বিরুদ্ধে কেউ লড়লে, সরকারকে প্রশ্ন করলে, আদানি (Adani Group) ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে এভাবেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করা হচ্ছে।” এথিক্স কমিটি যেভাবে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে, সেটারও বিরোধিতা করেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য,” এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান নিজেই রিপোর্টে লিখছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন, বিষয়টা যখন তদন্তসাপেক্ষ, আপনার কাছে যখন কোনও প্রমাণ নেই, তখন আপনি সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করলেন কী ভাবে?”
[আরও পড়ুন: ‘দীপাবলিতে পণবন্দিদের জন্য একটি প্রদীপ জ্বালান’, ভারতবাসীকে অনুরোধ ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতের]
দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়ালেও অভিষেক এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের জবাব তাঁকেই দিতে হবে। নিজের উদাহরণ তুলে ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,” আমার মনে হয়, মহুয়া নিজের লড়াই নিজেই লড়তে সমর্থ। আমাকেও চার বছর ধরে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। একের পর এক মামলায় ডেকেছে। একটা মামলায় না পারলে অন্য মামলায় ডেকেছে। এটাই এঁদের পদ্ধতি।”
[আরও পড়ুন: মোদি-আদানির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ‘শ্বাসরোধ’, মহুয়ার পাশে অধীর-সুজনরা]
মহুয়া ইস্যুতে এথিক্স কমিটির দ্বিচারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “এথিক্স কমিটির কাছে আরও অনেক অভিযোগ পড়ে রয়েছে। বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি সংসদে দাঁড়িয়ে অশ্রাব্য কথাবার্তা বলেছেন। সংসদের অপমান করেছেন। তাও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। মানুষ সব দেখছে।”