সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দলের আসল সম্পদ দলীয় কর্মীরাই। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তাঁরাই। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের দেশ জয়ের ব্লু প্রিন্টের প্রাথমিক খসড়াও দিয়ে দিলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতোই সামলালেন সাংবাদিকদের প্রশ্নপর্বও।
২০০৭ সাল থেকে রাজনীতিতে থাকলেও এর আগে অভিষেককে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। এবার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, “দলে প্রথম বা প্রধান মুখই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই। আমি না। যাঁরা লড়াই করে বাংলায় দলকে ক্ষমতায় এনেছে।” এদিন তিনি জানান, “দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। প্রবীণদের আর্শীবাদ নিয়ে কাজ করছি। গতকাল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব।” তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেকের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৪ সদস্যের কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী]
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ২০২৪ সালে জাতীয় স্তরের রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কীভাবে তৃণমূল ভারত ‘জয়’ করবে, তারও খসড়া দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “লড়াইটা মমতা বনাম মোদি সরকারের। আমরা যখন অন্য রাজ্যে পা দেব তখন শুধু একটা দুটো বিধায়ক পদ জিততে যাব না, ভোট বাড়াতে যাব না, যখন অন্য রাজ্যে যাব সেটা জিততেই যাব।” তবে ভবিষ্যতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে আরও এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দেন অভিষেক। বললেন, “বিরোধী দলনেতা কুৎসা করছেন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বিজেপিশাসিত রাজ্যে রয়েছেন বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলব, কুৎসা করবেন না। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করুন।”