সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে টর্নেডোর কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ মৎস্যজীবীর। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টের এই ঘটনায় এখন পরিবারগুলি শোকে পাথর। মৎস্যজীবীর মৃত্যুর খবর পেয়েই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদারের মাধ্যমে ওই পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন তিনি। সোমবারই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সেই সাহায্য দিয়ে এসেছেন বাপি হালদার।
কাকদ্বীপের শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব ছবি।
গত শুক্রবার রাতের বঙ্গোপসাগরে মিনিট খানেকের টর্নেডো হয়ে উঠেছিল প্রাণঘাতী। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বাবা গোবিন্দ নামে একটি ট্রলারটি উলটে যায়। তাতে ছিলেন নজন মৎস্যজীবী। তাঁদের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিকে উদ্ধার করে চরে আনার পর কেবিনের ভিতর থেকে ৮ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখনও ওই ট্রলারের এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন ও কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের লোকজন। সোমবার স্পিডবোট, হোভারক্রাফট-সহ মৎস্যজীবীদের ট্রলার সকাল থেকে তল্লাশিতে নামে বঙ্গোপসাগরে।
এদিকে, মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের অধিকাংশের বাড়ি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট থানা এলাকায়। ওই এলাকার মৎস্যজীবী মহল্লায় এখন শুধুই কান্নার রোল। এদিন মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে যান মথরাপুর লোকসভার সাংসদ বাপি হালদার। তাঁকে কাছে পেয়ে পা জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিজনরা। মৃতদেহ সৎকার ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছাড়াও আপাতত শোকার্ত পরিবারগুলি যাতে কিছুদিন সংসার চালাতে পারে, তার জন্য সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাপি হালদারের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য করেন। সাংসদ বাপি হালদার জানান, মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের শোকার্ত পরিবারের পাশে তাঁরা সবসময় রয়েছেন।