সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে জয়ের 'টার্গেট' বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেই 'টার্গেট' পূরণ না হলে কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা। পদ থেকে তাঁদের সরিয়েও দেওয়া হতে পারে। লোকসভা ভোটের রুদ্ধদ্বার প্রস্তুতি বৈঠকে সে কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বসিরহাটের সভাতেও তাঁর মুখে 'টার্গেটে'র কথা শোনা গিয়েছিল।
বুধবার বিষ্ণুপুরের আমতলায় ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার কার্যকর্তাদের নিয়ে প্রথম বৈঠক সারেন অভিষেক। বৈঠকে সাংসদ মনে করিয়ে দেন, এবার তাঁর ভোটে জেতার ব্যবধান অন্তত চার লক্ষ হতে হবে। দলীয় কর্মীদের তাঁর নির্দেশ, এতো উন্নয়ন ও পরিষেবা দেওয়ার পরও ২০১৯-লোকসভা এবং ২০২১-এক বিধানসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার যে বুথগুলিতে তৃণমূল লিড পায়নি সেই বুথগুলিতে আরও জোর দিতে হবে। কেন সেখানে তৃণমূল হারল তা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে। মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হবে। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং সাংসদ নিজে আমজনতার জন্য যে সমস্ত কাজ করেছেন সেগুলো মানুষকে বার বার করে বলতে হবে, পরামর্শ অভিষেকের।
[আরও পড়ুন: দিলীপের বিরুদ্ধে কমিশনে গিয়ে বেলাগাম কুণাল, ফের শুভেন্দুকে ‘বাবা’ তুলে আক্রমণ]
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৪,৬,৯ ও ১৬- এই চারটি ওয়ার্ডের গত নির্বাচনের কেন ফল খারাপ হল, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সাংসদ বলেন এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে আরও বেশি করে নেতাকর্মীদের মানুষের দরজায়-দরজায় যেতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে। এই সমস্ত বুথ ও ওয়ার্ডগুলোতে কেন তৃণমূল দুর্বল, সে ব্যাপারে মানুষের কাছে জানতে হবে। এর পরই কড়া ভাষায় অভিষেক জানান, কোনও ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল লিড না পেলে তার দায়িত্ব নিতে হবে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রেসিডেন্টদের। তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, তাঁদেরকে পদ থেকে সরেও যেতে হবে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক মনে করিয়ে দেন, জনগণই তৃণমূলের শক্তি। তাই বার বার মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের চাহিদা কী, তা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পরিষ্কারভাবে জানতে হবে। মানুষের দাবিগুলি তাঁকে জানানোর জন্য বলেন অভিষেক। আগামী দুমাস রাস্তায় থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নেতাকর্মীদের সাংসদের পরামর্শ, এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘরের টাকা আটকে রেখেছে।