সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনেই তৃণমূল সাংসদদের 'হেনস্তা'। এই কাজ 'কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না', বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর দাবি, "জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের বাইরে থেকে তৃণমূলের সাংসদদের টেনে হিঁচড়ে অসম্মানিত করেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআইএসএফ। এ কাজ কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না। কমিশন গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজ গণতন্ত্রের কালো দিন।"
দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য সোমবার রাত ৯টায় রাজভবনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের ১১ সদস্য। প্রায় পৌনে একঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়েই নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করেন অভিষেক।
দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের উপর 'বর্বরতা'র জন্য় নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহকে 'দায়ী' করেননি তিনি। বরং নির্বাচন কমিশনের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তৃণমূলের 'সেনাপতি'। কারণ হিসেবে তিনি জানান, দেশে এখন নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর রয়েছে। এই সময় কোনও সরকার কোনও কিছু করতে পারে না, সব কমিশনের নেতৃত্বাধীন। তাই যা হয়েছে সবটাই কমিশন করিয়েছে বলে দাবি অভিষেকের। সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, "নির্বাচন কমিশন বিজেপির হাতের পুতুল। যে নির্বাচন কমিশন দেশের গর্ব ছিল সেই নির্বাচন কমিশন বিজেপির কাছে মাথা নিচু করেছে।"
[আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, অবশেষে পিছু হটছে ইজরায়েল সেনা?]
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, "নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করছি। আপনারা চান না বিরোধীরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাক। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।" তিনি মনে করিয়ে দেন, চণ্ডীগড়ে কীভাবে মেয়র নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছিল কমিশন। কীভাবে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। সেই কথা উল্লেখ করে অভিষেকের দাবি, এই অবস্থা এবার গোটা দেশে হবে। সবমিলিয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের পর সিপিএম, ভোটের আগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ আয়কর দপ্তরের]
দেখুন ভিডিও: