সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে তলব পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ২৯ তারিখ, মঙ্গলবার অভিষেককে ইডির (ED) অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইডি তলব নিয়ে এখনও অবশ্য অভিষেকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত সোমবার অর্থাৎ ২১ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করা হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ যুক্তি সহকারে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের দায় চাপান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) উপর। এরপরও ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সোমবারের জিজ্ঞাসাবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব প্রশ্নের উত্তর দেননি, তাই ফের তলব।
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পাশে রাজ্য, চাকরি ও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
গত সেপ্টেম্বর মাসেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। আর সোমবার সস্ত্রীক অভিষেককেই ডাকা হয়েছিল। যদিও ছোট ছেলেকে ফেলে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে অভিষেকপত্নী রুজিরা ইডিকে চিঠি লিখে জানান এবং দিল্লি গিয়ে জেরায় অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি চান। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক। বললেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই করলে হারবে জানে। তাই আমাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু আমি ভয় পাই না। ইডি, সিবিআইয়ের সামনে মাথা নোয়াব না।”
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাংলা বোর্ড ভুলে ভরা, চালুর আগে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, এদিনের শুরুতে ইডির তলবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লিতে ইডির দপ্তরে নয়, তদন্তের স্বার্থে কলকাতার দপ্তরে ডাকা হোক সস্ত্রীক ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে (MP)। আগেই এই আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। রায় ঘোষণার পরই ফের সাংসদকে নোটিস পাঠায় ইডি। এদিন সকালে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রুজিরা দেবী। আবেদন জানান, যাতে তাঁদের কলকাতার ইডি দপ্তরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণই করেনি শীর্ষ আদালত।