ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার জন্য নিজের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিশেষ ক্যাম্প করেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের জন্য অঞ্চলভিত্তিক ক্যাম্প করে নাম নথিভুক্ত করাতে দলের কর্মীদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার থেকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ এই ক্যাম্প থেকে নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলবে। ২১ লক্ষ ভুক্তভোগীর বকেয়া আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার ঘোষণা রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই দলের সর্বস্তরে তৎপরতা শুরু হয়। তবে এ নিয়ে একেবারে ক্যাম্প করে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করলেন অভিষেক। তাঁর নির্দেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে তিনশোর বেশি ক্যাম্প খোলা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কিশোরী মেয়েকে দু’বার বিক্রি মায়ের! ‘খদ্দেরে’র অত্যাচারে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুতে রহস্য]
যেখানে জব কার্ড হোল্ডাররা নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে। সকলের সুবিধার জন্যই ক্যাম্পগুলি অঞ্চলভিত্তিক করা হবে। সেখানে পাওয়া নথি যাচাই করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সকলে তাঁদের ন্যায্য পাওনা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত পেয়ে যাবেন।
এর আগে শুধু ডায়মন্ড হারবারের জন্য কোভিড থেকে শুরু করে ডক্টর অন হুইল, দুস্থদের জন্য খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক। এবার এই সিদ্ধান্ত গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য নেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের প্রথম দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলন করেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন দেশব্যাপী চেহারা নেয়। পরে কলকাতায় তা নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন অভিষেক। এখন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে ধরনা চলছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই টাকা বঞ্চিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।