ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ডায়মন্ড হারবারে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Abhishek Banerjee)। গত ৮ বছরে নিজের সংসদীয় এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার উন্নতি, হাসপাতাল থেকে খেলাধুলোয় অগ্রগতির স্বার্থে নিঃশব্দে কাজ করে চলেছেন তিনি। শনিবার সেই কাজেরই খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন অভিষেক।
সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল: ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফলতা-মথুরাপুর জলপ্রকল্প তৈরি হবে। যা দেশের বৃহত্তম জল সরবরাহ প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। উপকৃত হবে ৭.৯ লক্ষ মানুষ। পাশাপাশি বজবজে অত্যাধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। যার সুবিধা পাবেন সংসদীয় এলাকার অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ ঘিরে অগ্নিগর্ভ দেশ, পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের]
স্বাস্থ্য পরিষেবা: সুচিকিৎসার স্বার্থে ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছে ডায়মন্ড হারবার সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ।
উন্নত শিক্ষা: ১১৩.৫ লক্ষ টাকা খরচে এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ভোকেশনাল শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বানানো হয়েছে পলিটেকনিক কলেজ এবং আইটিআই প্রতিষ্ঠান।
নারীকল্যাণ: মহিলা ক্ষমতায়নে জোর দিতে তৈরি হয়েছে মহিলা হোস্টেল। এমনকী, বাংলা আবাস যোজনায় ১২ হাজার ৯৭২ জন মহিলার মাথার ছাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কৃষকদের কল্যাণ: কৃষক, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের সুবিধার্থে দু’টি কৃষক বাজার তৈরি হয়েছে।
করোনা ব্যবস্থাপনা: করোনাকালে এই এলাকায় কল্পতরু ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ১২ হাজার ৯৭২ পরিবারকে খাওয়ানো হয়েছিল। অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের সময় চালু হয়েছিল ডক্টর অন হুইলস। এমনকী, ওষুধ ও ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল মানুষের কাছে। গণ কোভিড পরীক্ষার কিয়স্কও তৈরি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘এক ডাকে অভিষেক’, মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে নয়া পরিষেবা সাংসদের]
মানবিক সহায়তা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২ লক্ষ মানুষের জন্য ত্রিপল, খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নতি: বড়কাছারি, জয়রামপুর মন্দির এবং পীরতলা মাজহারের অলঙ্করণ এবং সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে।
খেলাধুলোর মানোন্নয়ন: সংসদীয় এলাকায় তৈরি হয়েছে ৩৮টি মাল্টিজিম, ৩ মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ২ খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব।
উন্নত নাগরিক সুবিধা: বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় ১ হাজার ৩৯২ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ১১৮.২ লক্ষ টাকা খরচে রাস্তায় আলো লাগানো হয়েছে।