shono
Advertisement

‘হিংসামুক্ত, বিভাজনহীন ভারত চাই’, মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে বার্তা অভিষেকের

'কেন্দ্রের এই ‘অমৃতকাল’ ঝুটা', দাবি তৃণমূল সাংসদের।
Posted: 08:12 AM Aug 15, 2022Updated: 08:28 AM Aug 15, 2022

স্টাফ রিপোর্টার : বিভেদকামী শক্তির হাতে দেশ শাসনের ভার ছাড়া যাবে না। কেন্দ্রের এই ‘অমৃতকাল’ ঝুটা। আমাদের সংবিধান রক্ষা করতে হবে। দেশের ঐক্য রক্ষা করতে হবে। হিংসামুক্ত ভারতবর্ষ চাই আমরা। বিদ্বেষ বিষ যারা ছড়াচ্ছে তাদের উৎখাত করতে হবে। রবিবার মধ্যরাতে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে ফেসবুক লাইভের আট মিনিটের ভাষণে এই বার্তাই দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

Advertisement

এদিন সকালেই এক দফা টুইট করে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মধ্যরাতের ভাষণে ’২৪-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, “আট বছর ধরে আমরা সময় নষ্ট করেছি। আরও পাঁচ-সাত বছর নষ্ট করতে চাই না। আমাদের এবার রাস্তায় নেমে কাজ করতে হবে। ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে। এক হতে হবে। তবেই স্বপ্নের দেশ গড়তে পারব। দেশের সামাজিক ঐক্যকে রক্ষা করতে পারব। সংবিধান রক্ষা সম্ভব হবে।” তাঁর কথায়, “এমন দেশ গড়তে হবে যেখানে প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার থাকবে। তারজন‌্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। দেশকে বিভেদকামী শক্তির শাসনে ছেড়ে দিতে পারব না। আমার দেশপ্রেম একতা, ধর্মনিরেপক্ষতার মিশেল। কোনও অশুভ শক্তি এই ঐক্যকে ভাঙতে পারবে না। হিংসামুক্ত ভারতবর্ষ চাই আমরা। যারা বিদ্বেষের বিষ ছড়াচ্ছে তাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে।”

[আরও পড়ুন: গান্ধীর সঙ্গে একাসনে সাভারকর, লালকেল্লা থেকে ‘হিন্দুবীর’-কে সম্মান প্রধানমন্ত্রীর]

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি থেকে দেশের অর্থনীতি, নারী স্বাধীনতা, সামাজিক সুরক্ষা– একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বের সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “বৈচিত্রের মধ্যে একতা আমাদের দেশের বৈশিষ্ট‌্য। তাকে নষ্ট করা হচ্ছে। বিরোধীদের দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে।” এই স্বাধীনতার স্বপ্নই কি দেখেছিলেন গান্ধীজি, নেতাজি, ভগৎ সিংরা– প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, “কেন্দ্রের সরকার বলছে আমরা অমৃতকালে আছি। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন তো এটাই কি অমৃতকাল? যেখানে টাকার দাম রোজ পড়ছে, জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া, অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।”

দেশপ্রেমের প্রসঙ্গ তুলে এর পরই কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন অভিষেক। তাঁর সাফ কথা, “দেশের জন্য আমাদের ভালবাসা অনেক গভীরে। এই দেশ আমাদের বড় করেছে, রক্ষা করেছে। কারও কাছে দেশপ্রেম শিখতে হবে না। বিশেষ করে তাদের কাছে তো নয়ই, যারা বিশ্বাস করে আমাদের দেশ বৈচিত্রের নয়, একনায়কতন্ত্রের।” ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রসঙ্গ টেনেও বিঁধেছেন কেন্দ্রকে। বলেছেন, “দিল্লির মসনদে বসে একজন বলে দেবেন আমি কী পরব, কার সঙ্গে মিশব, কী খাব, কাকে ভালবাসব? এটা চলতে পারে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিজে নিতে চাই।”

[আরও পড়ুন: দেখুক চিন, স্বাধীনতা দিবসে প্যাংগং লেকে সগর্বে উড়ল তেরঙ্গা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার