শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে ক্রমশই বাড়ছে দলীয় কোন্দল। ঠিকমতো কাজ করার পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই। উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীদের প্রতিক্রিয়াও কি ঠিক এরকমই? সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে জলপাইগুড়িতে যান তিনি।
সকালে জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিয়ে জলপাইগুড়ি সফর শুরু করেন। সেখানে হাঁটু গেড়ে বসে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে দেখা যায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে।
কথা বলেন পুরোহিতের সঙ্গে। পুরোহিত তাঁকে মন্দির এবং এলাকার উন্নয়নের দাবি জানান। পুরোহিতকে আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উন্নয়ন হবে বলে জানান তিনি। পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতেও মাল্যদান করেন।
এরপর সোজা চালসায় চলে যান অভিষেক। সেখানে সাতটি বিধানসভার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন। সূত্রের খবর, ওই কর্মিসভায় উপস্থিতি ছিল প্রায় একশো শতাংশ। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলকে মিলেমিশে কাজের বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কৃষকদের ১০০ শতাংশ সাহায্য করছে কেন্দ্র’, রাজ্যের বিরোধিতায় ফের সরব ধনকড়]
ভোটের মুখে তৃণমূলে একের পর এক নেতার ‘বেসুরো’ মন্তব্য এবং দলবদলের হিড়িক লেগেছে। যা শাসকদল তৃণমূলকে বেশ চাপে রেখেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর শাসক দলের অশান্তি স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে দলের অভ্যন্তরীণ ফাটল রোধই যেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই জলপাইগুড়িতে দলীয় কর্মীদের বৈঠকে একে অপরের সমঝোতা আদৌ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মতো তিনিও সকলকে মিলেমিশে একযোগে ভোট বৈতরণী পার করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরামর্শ ঠিক কতটা কাজে লাগান দলীয় নেতা-কর্মীরা সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, আরও দু’দিন উত্তরবঙ্গে নানা কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর যাবেন। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠে জনসভা রয়েছে। অনুষ্ঠান সেরে ফের শিলিগুড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা অভিষেকের। ৮ জানুয়ারি, শুক্রবার উত্তরকন্যায় একটি বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরবেন।