স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা নির্বাচনী প্রচারের দামামা। সেই মঞ্চ থেকে দলকে নির্বাচনী ময়দানে নামিয়ে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই দুমাসব্যাপী প্রচার অভিযানে নেমে পড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জমিদারি হঠাও, বাংলা বাঁচাও’– এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রচার অভিযান সাজানো হয়েছে। তার সার্বিক নকশা নিয়ে যদিও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ১০ মার্চ ব্রিগেড সভার পরই তা চূড়ান্ত করবেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাইরে অসম, মেঘালয়েও ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের প্রার্থী থাকবে। বাংলায় ৪২ আসনের পাশাপাশি সেক্ষেত্রে অসমে দুটি আসন ও মেঘালয়ে একটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী ও অভিষেক দুজনকেই চাইছে ওই দুই প্রতিবেশী রাজ্যের দলের সংগঠন। এই দুই রাজ্যের অভিষেকের সূচি নিয়ে আলোচনাও চলছে। ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসাবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার আর ন্যূনতম কোনও পরিস্থিতি না থাকলে ওই দুই রাজ্যে নিজেদের মতো করে প্রচারসূচি সাজাবে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে রাজ্যে ম্যারাথন প্রচারের পাশাপাশি ভিনরাজ্যও প্রচারে যেতে পারেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ‘হিরো’ সাজা বাইকচালকদের সতর্কবার্তা, রোহিতের বার্তা হাতিয়ার রাজ্য পুলিশের]
উল্লেখ্য, এর আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে প্রায় দুমাস টানা বাইরে কাটিয়েছেন অভিষেক। ক্যাম্প করে থেকেছেন। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে সভা করেছেন, রোড শো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে উঠেছে। এবার টানা বাইরে থাকার পরিকল্পনা না রেখে নির্দিষ্ট সময় পরপর জেলায় জেলায় প্রচারে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে অভিষেকের। সেই অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে সূচি। এর পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবারে তাঁর নিজের কেন্দ্রে ভোটে লড়াই ও প্রচারের সূচিও থাকবে। ফলে সেখানেও কিছুটা সময় দিতে হবে তাঁকে। সব মিলিয়ে তাই এবার লাগাতার বাইরে ক্যাম্প করে কর্মসূচি না করে জেলা সফর করে প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।