সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গৃহপ্রবেশের দিন ন’তলা থেকে পড়ে যায় আট বছরের শিশু। গুরুতর জখম শিশুকন্যা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তার পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাবালিকার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
এই ঘটনায় আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্মাণবিধি না মানা, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতের দুর্ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় মহেশতলার (Maheshtala) নামী-অভিজাত আবাসনে। গাফিলতির অভিযোগ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। শুক্রবার রাতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ একটি প্রতিনিধি দল শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। মহেশতলা টাউন তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কথা বলেন শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে। সঙ্গে জানান, আহত বাচ্চাটির যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করবেন খোদ সাংসদ।
[আরও পড়ুন: হাতছাড়া হওয়ার পরেও ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল প্রশাসক, আদালতে যাওয়ার ভাবনায় কংগ্রেস]
সদ্যই মহেশতলার নামী বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছেন সরকারি চাকুরে গৌতম ঘোষ ও তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার ছিল গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে সন্ধেয় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। তাঁদের বাড়িতে আসা অতিথিদের মধ্যে গৌতমবাবুর ৮ বছরের মেয়ে অন্বেষার সমবয়সি বেশ কয়েকজন ছিল। তাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল অন্বেষা। লুকোতে গিয়ে ফ্ল্যাটের ফায়ার এক্সিটের গর্তে গিয়ে ঢোকে অন্বেষা ও তার এক বন্ধু। আর সেখান থেকেই পড়ে যায় অন্বেষা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মহেশতলার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে প্রথমে ভরতি করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্বেষার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে কলকাতার বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্বেষার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর আপাতত ভাল আছে সে।
রাতের ঘটনার পর শুক্রবার আবাসিকরা ওই আবাসনের অফিসের দরজা কাঠ দিয়ে পেরেক পুঁতে বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আবাসন কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। পাশাপাশি সমস্ত রকম নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। তারপর ওঠে বিক্ষোভ। আর এবার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন খোদ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।