সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam) খাতায় কুকথা লেখার জের। কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBCSE)। মোট ১১ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল করে দিল পর্ষদ। পাশাপাশি, ওই পরীক্ষার্থীদের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সতর্ক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নজিরবিহীনভাবে তাদের অভিভাবকদের ডেকে উত্তরপত্রগুলি দেখিয়েছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা, আগামী দিনে যাতে ছেলেমেয়েরা এমন কাজ না করে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবছরের মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের (Answer Sheet) মূল্যায়ন করতে গিয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়েছে পরীক্ষকদের। তার মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে একটি। দেখা গিয়েছে, সাদা খাতায় কিছুই লেখেনি পরীক্ষার্থী। কেবল লিখে দিয়েছে ‘পুষ্পা রাজে’র নাম। জানিয়েছে, সে কিছুই লিখতে চায় না! যেন এটাই তার ‘সোয়্যাগ’! নেট ভুবনে দেখা মিলেছে এর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’। খাতায় কিছুই লেখার মতো না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ‘পুষ্পা’ (Pushpa) ছবির সংলাপই লিখে দিয়েছে সে – ‘পুষ্পা রাজ, আপুন লিখে গা নেহি’। এসবের জেরে কড়া ব্যবস্থা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, দেখে নিন ২০২৩-এর পরীক্ষাসূচি]
এদিকে, এ বছর মাধ্যমিকে সাফল্যের নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে জেলার পরীক্ষার্থীরা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দিয়েছেন লড়াইয়ের বার্তাও। এদিন তাঁর জোড়া টুইটে শুধু পড়ুয়াদেরই নয়, শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছেছে অভিভাবক, শিক্ষক ও সর্বোপরি পরীক্ষার আয়োজকদের কাছেও।
পরিশ্রম করলে সাফল্য তো প্রত্যাশিতই। কেরিয়ারের প্রথম বড় পরীক্ষায় সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে অনেকেরই। কেউ আবার প্রত্যাশার চেয়েও অধিক ভাল ফল করেছে। মার্কশিট দেখে নিজেরাই বিস্মিত, উচ্ছ্বসিত। এই ফলাফল ছাত্রছাত্রীদের আরও আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলেছে নিঃসন্দেহে। তবে তার মাঝেও অনেকেই রয়েছে, যাদের মাধ্যমিকের ফলাফল মনমতো হয়নি ঠিক। তাদের তো মনখারাপ হবেই। তাই সাফল্যের শুভকামনায় টুইটে বিশেষভাবে তাদের কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর টুইট, যাদের ফল প্রত্যাশামতো হয়নি, তাদের হাল ছাড়লে চলবে না, আগামী দিনে এই লড়াই জারি রাখতে হবে ভাল কিছু করার লক্ষ্যে। এই প্রজন্মের কাছে তাঁর এই ভোকাল টনিকই তো আসল অনুপ্রেরণা। আর এখানেই তিনি যেন হয়ে ওঠেন ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত ‘অভিভাবক’।