সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাবণের লঙ্কা থেকে বন্দি সীতাদেবীকে বের করে আনতে শ্রীরামচন্দ্রকে পেরতে হয়েছিল সমুদ্র। সাগরের জলে একটি একটি করে পাথর ফেলে সুদূর বিস্তৃত এক সেতু তৈরি করেছিল হনুমানবাহিনী। ‘শ্রীরাম’ লিখে পাথর জলে ফেলতেই তা ভাসতে থাকে। আর এভাবেই ভারত থেকে রামচন্দ্র পৌঁছে গিয়েছিলেন লঙ্কায়। ভৌগলিক মানচিত্রে শ্রীরামের তৈরি সেই সেতুটি তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলেই ধরা হয়। হিন্দু ভক্তদের বিশ্বাস, রামায়ণে সেতু তৈরির যে বর্ণনা রয়েছে, সেভাবেই নির্মিত এই রাম সেতু। এই সেতু নিয়েই এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যাতে সেই সাধারণের বিশ্বাসই আরও জোড়ালো হচ্ছে।
[স্টান্ট দেখাতে গিয়ে বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের, ভাইরাল ভিডিও]
মার্কিন মুলুকের একটি সায়েন্স চ্যানেলের প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত সুবিস্তৃত একটি সেতু। যা বালির উপর পাথর জমে সৃষ্টি হয়েছে। এবং তা যেন প্রাকৃতিক কারণে নয়, মানুষের হাতেই তৈরি। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, রাবণের লঙ্কা যাওয়ার জন্য রাম সেতুর নির্মাণ হয়েছিল প্রায় সাত হাজার বছর আগে। কিন্তু ভারত মহাসাগরের নিচে যে বালির স্তর দেখা যাচ্ছে তার বয়স তুলনামূলক অনেকটাই কম। তবে একটি ভিডিওতে বলা হচ্ছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেতুটির যে কাঠামো চোখে পড়ছে, তা কোনওভাবেই প্রাকৃতিকভাবে নিজে থেকে তৈরি নয়। মানব জগৎই এটি তৈরি করেছে। তাঁদের মতে প্রায় প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এটি তৈরি হয়েছে। আর সেই যুগে দাঁড়িয়ে এমন সেতু তৈরি একপ্রকার অসম্ভব। তাই বিজ্ঞানীরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ বিস্মিত। ভূতত্ত্ববিদ চেলসি রোজ বলছেন, সমুদ্রের গভীরে ওই বালির স্তরই ধন্দ তৈরি করছে। ওখানেই লুকিয়ে অনেক অজানা রহস্য।
তবে এখন নতুন নয়। রাম সেতু নিয়ে আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল নানা তথ্য। তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত যে পাথরের সেতুটি দৃশ্যমান তা পরিচিত ‘অ্যাডামস ব্রিজ’ নামে। তবে বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সামনে এসেছে অনেক ছবি। নাসাও সেতুটির ছবি প্রকাশ করেছিল। আর এ ছবিগুলিতেই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে, এই সেতু মানুষেরই তৈরি। তাই ক্রমেই বাস্তব হচ্ছে রামায়ণের ইতিকথা।
[দেশের প্রতিটি টোল প্লাজায় স্যালুট জানাতে হবে জওয়ানদের, নির্দেশ কেন্দ্রর]
The post রাম সেতু কি মানুষেরই তৈরি? নয়া ছবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা appeared first on Sangbad Pratidin.