সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণনগর কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। শোনা যাচ্ছে, বাইক কেনার জন্য ধার দেওয়া ৪০ হাজার টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ছাত্রী খুনে ধৃত প্রেমিক। উঠে আসছে বিচ্ছেদের তথ্যও। নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ধৃত। তার জেরে ফেসবুক পোস্ট করে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়নি তো নাবালিকা ? একের পর এক মাথাচাড়া দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। জট খুলতেই তদন্তে পুলিশ।
কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরই উঠে এসেছিল সম্পর্কের টানাপোড়েন ও আর্থিক লেনদেনের তত্ত্ব। জানা গিয়েছিল, প্রেমিকের থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ছাত্রী। তা ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শোনা যাচ্ছে, ওই টাকা ফেরত পেয়েই নাকি বাইক কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন ধৃত। কী বাইক কিনবেন, তা নিয়ে রীতিমতো ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। প্ল্যান করেছিলেন, টাকা ফেরত পেয়ে কালীপুজোর রাতে বাইকটা বুক করবেন। তাই টাকার জন্য বারবার প্রেমিকাকে তাগাদাও দিচ্ছিলেন। তাহলে সেই টাকার কারণেই এই নারকীয় কাণ্ড? যদিও এই যুগলের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় নাবালিকার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।