অর্ণব আইচ: টেলিগ্রাম অ্যাপে ( (Telegram App) আইএস জঙ্গি সংগঠনের গ্রুপে এই রাজ্যের সাত যুবক। এই গ্রুপটিরই অ্যাডমিন ছিল বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার চাঁই আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা। এই মতিন তার সঙ্গী মুসাভির হুসেন শাহজেব বাংলার একাধিক জায়গা ঘুরে কলকাতারই নানা হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। তাদের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Kanthi) থেকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের আগে-পরে আবদুল মতিন ও আরও কয়েকজন এই ঘটনাটি নিয়ে গ্রুপে আলোচনা করে। তারা যে দেশবিরোধী কাজে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে, তা-ও ফলাও করে গ্রুপের অন্য সদস্যদের জানায়। এভাবে গ্রুপের সদস্যদের মগজধোলাই করা হয়। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ (Bangalore Blast) নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, টর্কের সঙ্গে সঙ্গে টেলিগ্রাম অ্যাপে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে গ্রুপ তৈরি করেছিল আইএস জঙ্গিরা। ওই গ্রুপের তিন অ্যাডমিনের (Admin) মধ্যে একজন সিরিয়ার এক জঙ্গি নেতা। দ্বিতীয়জন আবদুল মতিন। তৃতীয় অ্যাডমিন এই দেশেরই বাসিন্দা। ওই গ্রুপে যারা রয়েছে, তাদের একটি বড় অংশ ছাত্র। তাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (Engineering) ছাত্রের সংখ্যাই বেশি। আবার একটি অংশ ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে কাজও করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ওই গ্রুপের মধ্যে সাতজনই এই রাজ্যের। কলকাতারও (Kolkata) কেউ থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরে কোহলির চোখে জল, সোশাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল]
গোয়েন্দাদের মতে, এই সাতজনের কাছেও বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তথ্য ছিল। এবার এই আইএস টেলিগ্রাম গ্রুপে যারা ছিল, তাদের প্রত্যেকের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এই রাজ্যের ওই যুবকদের সরাসরি কোনও যোগ ছিল কি না, গোয়েন্দারা তা-ও জানার চেষ্টা করছেন। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইটি বিশেষজ্ঞ আইএস চাঁই আবদুল মতিন। তাদের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে কয়েক মাস আগে টেলিগ্রাম অ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে। গ্রুপের সদস্যদের মগজধোলাইও করে আইএস জঙ্গি নেতারা। দেশবিরোধী ও আইএস-এর সপক্ষে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপে।
[আরও পড়ুন: অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা, অপরাধীর সন্ধানে বিরাট আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের]
তদন্তকারীরা বলছেন, অনুমান, আইএস জঙ্গি সংগঠন যে ভোটের আগে ভিআইপিদের উপর হামলার ছক কষছে, সেই ব্যাপারেও গ্রুপে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি এনআইএ-র হাতে মোজাম্মেল শেরিফ, আবদুল মতিনের মতো জঙ্গি নেতারা গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও যেহেতু গ্রুপের অন্য সদস্যদের মগজধোলাই হয়েছে, তাই তারা নতুনভাবে কোনও ছক কষছে কি না, তা-ও জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।