সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। ইতিহাস গড়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানী থেকে আমজনতা। তবে এবার বিরাট কাজ রয়েছে ভারতের চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) সামনে। নানারকমের কাজ করবে ইসরোর (ISRO) পাঠানো একাধিক যন্ত্র।
বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নেমেছে ল্যান্ডার বিক্রম। প্রায় দু’ঘণ্টা পর ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। ভারতের চন্দ্রাভিযানের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করার মূল দায়িত্ব রয়েছে এই প্রজ্ঞানের উপরেই। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকার জলের খোঁজেই মূলত এই অভিযান চালাচ্ছে ভারত। আদৌ ওই দুর্গম এলাকায় জলের সন্ধান মিলবে কিনা, সেই প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করবে প্রজ্ঞান।
[আরও পড়ুন: ‘ভাই’ চাঁদের হাতে চন্দ্রযানের রাখি ‘দিদি’ পৃথিবীর, বিক্রমের সাফল্যে মিমের বন্যা নেটদুনিয়ায়]
জানা গিয়েছে, আপাতত ১৪ দিন চাঁদে কাজ চালাবে রোভার প্রজ্ঞান। মূলত দিনের বেলাই কাজ করবে প্রজ্ঞান, কারণ সূর্যের আলো থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সেই শক্তি ব্যবহার করে কাজ চলবে। ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে বেশ কিছুটা এলাকা ঘুরে দেখবে প্রজ্ঞান। প্রতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এই রোভার। সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ব্যবহার করে তোলা হবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি। তাছাড়াও চাঁদের মাটির গঠন, মাটির উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান। চাঁদের তাপমাত্রাও খতিয়ে দেখা হবে।
শুধু তাই নয়, চাঁদের যেটুকু অংশে ‘হাঁটবে’ প্রজ্ঞান সেখানে ভারতের জাতীয় প্রতীক ও ইসরোর লোগোর ছাপ রেখে দেবে। তবে কতটা অতিক্রম করবে প্রজ্ঞান, সেই নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ চাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এগোতে হবে প্রজ্ঞানকে। প্রবল ঠাণ্ডার কারণেও ব্যাহত হতে পারে প্রজ্ঞানের কাজ।