সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশ দাশগুপ্তর পর এবার হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন টলিপাড়ার আরও এক অভিনেতা। আজ কাকদ্বীপে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পরিবর্তন যাত্রার জনসভা থেকেই গেরুয়া শিবিরে শামিল হচ্ছেন হিরণ। তাঁর দাবি, বাংলায় অলক্ষ্মীর প্রভাব পড়েছে। সেই অলক্ষ্মীকে দূর করে রাজ্যে লক্ষ্মী ফেরাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই তাঁর গেরুয়া যাত্রা।
হিরণ একটা সময় সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদেও ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও তাঁকে শাসকদলের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। নিজের দলত্যাগ প্রসঙ্গে হিরণ বলছেন, ” বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায়ই তাঁর আসল লক্ষ্য। আর সেই সেই স্বপ্ন নিয়েই ২০১৪ সালে একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, বাংলার পরিবর্তন হবে। কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। হতাশ হয়েছি। অভিনেতা বলছেন, “নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য রাজ্যে সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষমতায় চাই।’ তৃণমূলের প্রতি তাঁর ক্ষোভের কারণ হিসেবে হিরণ আগেই জানিয়েছিলেন, “এবার আর শুধু প্রচার নয়, মানুষের কাজ করতে চান তিনি। ভোটের সময় বলা হয় এখানে যাও, ওখানে যাও। প্রচার করে এসো। কিন্তু ভোট শেষ হয়ে গেলে কেউ একটা ধন্যবাদের মেসেজও পাঠায় না। এই কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।”
[আরও পড়ুন: হায় ঈশ্বর! দাবিমতো ফি দিতে না পারায় ওষুধ লিখেও কেটে দিলেন চিকিৎসক]
ভোট ঘোষণার সময় যতই এগোচ্ছে, ততই সরগরম টলিপাড়া। কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস (Sourav Das), রণিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্যর মতো পর্দার চেনা অভিনেতারা ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আবার তৃণমূলকে বিদায় জানিয়ে বিজেপির হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। যোগ দিয়েছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ কৌশিক রায়ও। গতকালই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছেন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস, শর্মিলা ভট্টাচার্য-সহ টলিউডের আরও একঝাঁক তারকা। শাসকদলের মতো তারকাদের সামনে রেখেই প্রচারে ‘ট্রাম্প কার্ড’ ফেলতে চাইছে বিজেপিও। সেই লক্ষ্যেই যশ, হিরণদের দলে টানা।