সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি মানেই বিপ্লব। স্বাধীনতা আন্দোলনের এক জীবন্ত উদাহরণ। কিন্তু সবকিছুর আগে তিনি বাঙালির আবেগ। বাংলার ঘরের ছেলে সুভাষ। তাঁর আজ জন্মদিন। ২৩ জানুয়ারি তাই প্রত্যেক বাঙালিই সুভাষকে নিজের মতো করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ব্যতিক্রম নন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। বরং সুভাষের প্রতি তো তাঁর দাবিটা একটু বেশিই। সঙ্গে আবেগটাও। কারণ সিলভার স্ক্রিনে কয়েকমাস আগে তিনিই তো জীবন্ত করে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান সুভাষচন্দ্র বসুকে।
গত বছর পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছিল সজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘গুমনামি’। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তবে স্বাধীনতা আন্দোলনের পাশাপাশি গল্পে উঠে এসেছিল আরও একটি বিতর্কিত কাহিনি। গুমনামি বাবার গল্প। নাম ভূমিকায় অভনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে যেহেতু নেতাজির কথাও ছিল তাই তাঁকে নেতাজির মতো সাজতেও হয়। মাথা, নাক, গাল সব জায়গাতেই পড়েছিল মেকআপের প্রলেপ। প্রসেনজিৎ থেকে নেতাজি হয়ে ওঠার সেই ভিডিওই অভিনেতা শেয়ার করলেন সুভাষের জন্মদিনে। ভিডিওটি অবশ্য শুরু হয়েছে নেতাজির কয়েকটি ছবি দিয়ে। তারপর এসেছে প্রসেনজিতের নেতাজির ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করার আগের ধাপ- অভিনেতার মেকআপ। ভিডিওটি শেয়ার করে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
[ আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে উঠছেন শাবানা, খবর দিলেন স্বামী জাভেদ আখতার ]
গুমনামি বাবার গল্প রহস্যে মোড়া। তাঁকে অনেকেই নেতাজি বলে মনে করতেন। অদ্ভুতভাবে তাঁর গলার স্বরও ছিল অনেকটাই সুভাষচন্দ্র বসুর মতো। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে ওই সাধুর অবির্ভাবে একসময় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। নেতাজি গবেষক ও লেখক অনুজ ধরও তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন নেতাজিই গুমনামি বাবার ছদ্মবেশে ছিলেন। তবে এর সহায় কমিশনের আগে এই দাবি খারিজ করেছিল মুখার্জি কমিশনও। ১৯৮৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় গুমনামি বাবার। অযোধ্যার গুপ্তার ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তবে ওই সাধুর মৃত্যু হলেও থামেনি বিতর্ক। গুমনামি বাবার জীবনযাপন ও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা বেশ কয়েকজন রহস্যময় ব্যক্তিকে ঘিরে জল্পনা আজও সমানে চলে।
[ আরও পড়ুন: ‘ওঁকেও নির্ভয়ার ধর্ষকদের সঙ্গে জেলে রাখা হোক’, আইনজীবী ইন্দিরাকে কদর্য মন্তব্য কঙ্গনার ]
The post নেতাজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য, দেশনায়কের জন্মদিনে সুভাষ হয়ে ওঠার ভিডিও শেয়ার প্রসেনজিতের appeared first on Sangbad Pratidin.