জ্যোতি চক্রবর্তী: সিবিআইয়ের হাতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই ফের অনুব্রতকে নিয়ে ছড়া বাঁধলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudrnail Ghosh)। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরলেন সেই ছড়া। এদিন রুদ্রনীল বললেন, ‘অনুমাধব, অনুমাধব, তোমার বাড়ি যাব! অনুমাধব আজ রাখিতে, রাখি কি কেউ পাব?’
তবে ছড়াতেই শেষ নয়। অনুব্রতকে কটাক্ষ করে এদিন রুদ্রনীল বলেন, ”বীরভূমের মাটিতে ছিলেন গুরুদেব আর সঙ্গে ছিলেন জয়দেব। এখানে জুটে গিয়েছিল এই ভদ্রলোক। তবে একটাই কথা বলব, তিনি রাখি পরে যেতে পারলেন না তাঁর দিদির কাছ থেকে। এটা বড্ড খারাপ লাগল। তবে জানি না, উনি আর পার্থদা এই রাখি উৎসব নিয়ে কী আলোচনা করবেন। আমরা সবার মঙ্গল চাই।”
[আরও পড়ুন: অ্যাকশন দৃশ্যে শুটিং করতে গিয়ে পা ভাঙলেন শিল্পা শেট্টি, এখন কেমন আছেন?]
রুদ্রনীল আরও বলেন, ‘আমার একটাই চিন্তা। পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এতো জায়গা নেই। এতো মানুষ হয়ে যাচ্ছে। যারা বালতি বা গামছা চুরি করে জেলে রয়েছেন, তারা কোথায় যাবেন। তাই যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের অনুরোধ করব, যদি পাশ্ববর্তী রাজ্যে আবেদন করা যায়। জানি না আইনে রয়েছে কিনা। তবে আজকে রাখির দিনে এমন ঘটনা বাংলাকে গৌরবান্বিত করে না।’
তবে এই প্রথম নয়, কয়েকদিন আগেও ২১ জুলাই এবং অপির্তা ও পার্থ ইস্যুতে কবিতা পাঠ করেছিলেন রুদ্র। সেই কবিতায় উঠে এসেছিল, ”২১ জুলাই মঞ্চ থেকে বেচল দিদি মুড়ি, ২২ জুলাই অর্পিতাদের ফ্ল্যাটে কোটি কুড়ি। মুড়ি বেচার টাকা নাকি চাকরি চুরির টাকা, বলি ও দিদিভাই জবাব তো দিন, মালিক তো আপনি একা। ২০ কোটির নোটের পাহাড় দেখল বঙ্গবাসী, অর্পিতাদের উন্নয়নে আমার দিদি খুশি, তৃণমূলের দুর্গাপুজোয় অর্পিতারাই মুখ, নেতার কাছের মানুষ হলেই পাবে অপার সুখ…লজ্জা, ঘেন্না, শিকেয় তুলে লুটছে অবিরত…” এর আগেও রুদ্রনীল নানা সময়ে, নানা কাণ্ডে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে কবিতা পাঠ করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: মা হলেন পরীমণি, ‘রাজপরী’র সংসারে এল নতুন সদস্য ]