শুভঙ্কর বসু: বাংলা, অসম ও পাঞ্জাবে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। তার জেরেই অভিনেত্রী-পরিচালককে আইনি চিঠি পাঠানো হল অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে। তাঁর হয়ে এই পাঠান আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাস। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অসম্মান করেছেন তারকা।
গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় বাংলা, অসম ও পাঞ্জাবে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। বিএসএফ অফিসাররা এতদিন গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করতে পারত। তবে সেটা ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত। এবার তাঁদের অবস্থান থেকে ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে তাঁরা এই কাজ করতে পারবেন। এমনটাই জানানো হয় নির্দেশিকায়।
[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে হাঁসের পালক’! কাশফুলেও নয়া শিল্প, বিপুল কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী]
এর প্রতিবাদ করেন অপর্ণা সেন-সহ অন্যান্য বিদ্বজন। গত সোমবার প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রী-পরিচালক। “মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকেও বেশি দেওয়া হচ্ছে”, অভিযোগ করেন তিনি। ছিটমহলের বাসিন্দাদের কথা ভাবলেই তিনি শিউরে ওঠেন বলে জানান। এমনিতেই তাঁদের অবস্থা খারাপ, তার উপরে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়লে তা আরও দুর্বিষহ হবে বলে জানান অভিনেত্রী-পরিচালক। তিনি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর কথা যেন একটু ভাবা হয়। তাঁরা যেন নিজেদের মতো করে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাষাবাদ করতে পারেন।
শোনা গিয়েছে, নিজের বক্তব্য ‘খুন’, ‘ধর্ষক’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করেন অপর্ণা সেন। তাতেই আপত্তি আইনজীবী পৃথ্বীজয় দাসের। তাঁর অভিযোগ, নিজের কথার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অসম্মান করেছেন অপর্ণা সেন। তাই সাত দিনের মধ্যে অভিনেত্রী-পরিচালককে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান তাঁর। অপর্ণা সেনের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিনেত্রী-পরিচালককে ‘ভাতাজীবী’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে তৃণমূল।