সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারকা হওয়া মুখের কথা নয়! দিনভর স্পটলাইটে। আর পান থেকে চুন খসলেই ট্রোলের শিকার। ট্রোল-মিমের বন্যা। তারকারা যা-ই করেন না কেন, ধেয়ে আসে কটাক্ষবাণ। এবার ভিডিও বার্তায় নিন্দুকদের একহাত নিলেন মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। অভিনেত্রীর সপাট প্রশ্ন, "ডিভোর্সি মানেই হেনস্তা করার ছাড়পত্র রয়েছে নাকি?"
উত্তাল সময়ে যেখানে নারীদের সামাজিক অবস্থান, স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেই আবহেই শনিবার যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন মধুমিতা, তার ক্যাপশনেই সমাজের ধ্যানধারণার দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। লেখা- "একটা ডিভোর্স, যা আপনার জীবনটাকেই বদলে দেয়।" মধুমিতার কথায়, ঠিক কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। যেটাই করছেন, সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। নিন্দুরকদের উদ্দেশে ব্যঙ্গাত্মকভাবেই অভিনেত্রী বলছেন, "আমি এখন ইংরেজিতে কথা বলছি। এটা দেখেও লোকে বলবে- দিদি বাংলায় কথা বলতে অসুবিধা হয়? আবার স্পষ্ট বাংলায় কথা বললে, অবাঙালি মানুষ, বন্ধুবান্ধবরা বলবেন- কী বলছো কিছুই বুঝতে পারছি না। শাড়ি পরে ছবি দিলে লোকে বলবে- সারা দিন ছোট ছোট পোশাক পরেন, এখন শাড়ি পরেছেন! আবার এত কথা বলছি বলে, বলা হবে আমি নাটক করছি। আস্তে-ধীরে কথা বললে বলা হবে- আমি ন্যাকামি করছি। কীভাবে পুজো করব, সেটা নিয়েও কটাক্ষ করা হয়। মধুমিতা সরকারের সংযোজন, পুজো করলেও নাটক বলা হবে! আমাদের মহিলাদের সবসময়েই কটাক্ষ করা হয়।"
[আরও পড়ুন: পুজোর বিজ্ঞাপন করে নেটপাড়ার রোষানলে সোহিনী! আক্রমণাত্মক পোস্ট অভিনেত্রীর উদ্দেশে]
সমাজে একাকী নারী হলেই কি হেনস্তা করার ছাড়পত্র পাওয়া যায়? প্রশ্ন তুলেছেন মধুমিতা সরকার। অভিনেত্রীর মন্তব্য, "কাল যদি আমাকে কেউ হেনস্তা করে, তাহলে লোকে বলবে, আরে ও তো ডিভোর্সি। একা থাকে। তাই বলে কি আমাকে হেনস্তা করার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে?" সেই ভিডিও বার্তাতেই মধুমিতা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, তিনি নিন্দুক-সমালোচকদের পাত্তা দেন না! তাই এবার থেকে নিজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। মধুমিতার এহেন পোস্টে অনেক অভিনেত্রীরাই সমর্থন করেছেন।