সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী পৃথা সেনগুপ্ত। অবশ্য মোক্ষ নামেই বেশি পরিচিত তিনি। সেই প্রতিবাদের পর থেকে সিবিআই পরিচয় দিয়ে ফোন আসছে তাঁর কাছে। অভিনেত্রীর পরিচিতদের দাবি, আড়ি পাতা হচ্ছে মোক্ষর ফোনে। এ সবই প্রতিবাদের ফল, বলে আশঙ্কা করছেন মোক্ষ নিজেও।
নিজের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে মোক্ষ বলেন, তিনি আর তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু তন্ময় প্রতিবাদী মিছিল সংগঠন নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই আসে সেই ভুয়ো ফোন । চোস্ত হিন্দিতে তাঁকে ফোনে বলা হয়, দিল্লি থেকে ফোন করা হয়েছে। যিনি ফোন করেছেন তিনি সিবিআই অফিসার। এর পর মোক্ষর রয়েছে কি না, তাঁর স্বামী কোথায় চাকরি করেন, তাঁর বিয়ে হয়েছে কি না, ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মোক্ষর বন্ধু ফোন ধরে পালটা জানতে চান কী কারণে সিবিআই থেকে ফোন করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে? তিনি তো কোনও ভাবেই আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। প্রতিবাদ করেছিলেন মাত্র। এর পর ফোন কেটে দেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে হয়ে মোক্ষ বলেন, "প্রতিবাদের ফল এত ভয়াবহ হবে ভাবতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবে ফোনে কথা বলতে পারছি না। সকলের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলছি।"
[আরও পড়ুন: ফের কঙ্গনার নিশানায় রাহুল গান্ধী! এবার ‘টম অ্যান্ড জেরি’র প্রসঙ্গ তুলে কী বললেন?]
পাশাপাশি অভিনেত্রীর দাবি, একই ভাবে এই ফোন গিয়েছিল অভিনেত্রীর দক্ষিণী প্রযোজকের কাছেও। যদিও সেই প্রযোজক বুঝতে পারেন ভুয়ো ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে তাঁর অভিনেত্রীকে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ছেড়ে কাজে ফিরে আসার অনুরোধ জানান প্রযোজক। পাঠিয়ে দেন বিমানের টিকিটও। এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে সংবাদ মাধ্যমকে মোক্ষ বলেন, "মোক্ষলাভ হল কি না জানি না, তবে নিজের শহরকে নতুন ভাবে চিনলাম। আমি ব্যারাকপুরের মেয়ে। খোদ শাসকদলের এলাকা। মা-বাবাকে রেখে যেতে খুব ভয় করছে। প্রয়োজন বুঝলে ওঁদেরও এর পর নিয়ে যাব আমার সঙ্গে।"
[আরও পড়ুন: ‘নগ্ন হতে বাধ্য করেছিল…’, শ্রীলেখার পর পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে সোচ্চার উঠতি অভিনেতা]
উল্লেখ্য, শুরুতে টলিউডে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও সেভাবে কাজ পাননি পৃথা সেনগুপ্ত ওরফে মোক্ষ। এর পর বাংলা ছেড়ে দক্ষিণে পাড়ি দেন ব্যারাকপুরের কন্যা। সেখানে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে যথেষ্ট সফল পৃথা সেনগুপ্ত ওরফে মোক্ষ।