সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওজন প্রায় তিন টন। মূল্য ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সম্প্রতি আদানি (Adani) গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাটের (Gujarat) মুন্দ্রা বন্দরে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণে মাদক (Drug)। ওই বিপুল পরিমাণে মাদক ধরা পড়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অবশেষে আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে কোনও কার্গো কন্টেনার আর খালাস করতে দেওয়া হবে না তাদের বন্দরে।
সোমবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে আদানি বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (APSEZ)। সেই নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ওই তিন দেশ থেকে পণ্যবোঝাই কন্টেনারকে নামার অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকী সেটি থার্ড পার্টি কার্গো হলেও অনুমতি মিলবে না।
[আরও পড়ুন: ‘শুধু বিয়ের জন্য ধর্ম বদলে ভুল করছেন হিন্দুরা’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের]
স্বাভাবিক ভাবেই এমন সিদ্ধান্তে চিন্তিত ওই সব দেশের ব্যবসায়ীরা। রপ্তানিকারীরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন করবেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ইরানের রপ্তানিকারীরা। আসলে ওই তিন দেশ থেকে কত পরিমাণে পণ্য় আসে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আলাদা করে কোনও হিসেব না দিলেও সূত্রের দাবি, এর মধ্যে ইরান থেকেই সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়। ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস’-এর কর্তা অজয় সহায় জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে বাণিজ্য বড়সড় ধাক্কা খাবে। কেননা বহু রপ্তানিকারীই অন্য বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্দ্রা বন্দরে মাদক ধরা পড়ার পরে ডিআরআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, আটক হেরোইনের মূল্য ১৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। নতুন তালিবান জমানায় সেই পাচার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই যেন সত্যি হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। আহমেদাবাদ, দিল্লি, চেন্নাইয়ের বিভিন্ন বন্দরে শুরু হয় তল্লাশি।