shono
Advertisement

বাংলার পুলিশে আস্থা নেই? ‘আমিই ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলাম’, বিজেপির সুরে অধীর

জোটের আবহে অধীরের তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়া ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
Posted: 01:07 PM Feb 25, 2024Updated: 01:24 PM Feb 25, 2024

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই রাজ্যে আসছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী! এনিয়ে বিজেপির ‘সুর’ শোনা গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায়। বললেন, “ভোট শুরুর অনেক আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক, আমিই প্রস্তাব দিয়েছিলাম কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। বাংলার মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করে না। জানে, পুলিশ তৃণমূলের কথা অনুযায়ী চলবে। জোটের আবহে বহরমপুরের সাংসদের তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়া এহেন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট ঘোষণার আগেই এরাজ্যে পৌঁছচ্ছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে আগামী ১ মার্চ। বাকি ৫০ কোম্পানি পৌঁছবে মার্চ মাসের ৭ তারিখ। আগামী ৩ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছেন। তার আগেই ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে চলে আসা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন অধীর। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের দুদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে কোনও লাভ হয় না। মানুষের মধ্যে সাহস তৈরি করা সম্ভব হয় না। অধীরের খোঁচা, “রাজ্যটার নাম পশ্চিমবঙ্গ। এখানকার মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করে না। জানে পুলিশ তৃণমূলের কথা উঠবে বসবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার”

[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]

বলে রাখা দরকার, বঙ্গ বিজেপি বার বার নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে এসেছে। এবার তো নজিরবিহীনভাবে ১৫০ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্য়ে। তাও ভোট ঘোষণারও আগে। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, বঙ্গ বিজেপি এবং বাংলার কংগ্রেস নেতা একই সুরে কথা বলছেন। যা নিয়েও আগেও সরব হয়েছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, অধীরের এহেন ‘বিজেপি প্রীতি’ ও তৃণমূলকে বার বার ‘আক্রমণে’ই বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের পথে অন্যতম কাঁটা! ফলে এদিন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে মরিয়া কংগ্রেসের হাই কমান্ড, সেখানে হাত শিবিরের প্রদেশ সভাপতি এই ‘আক্রমণ’ কতটা যুক্তিযুক্ত?

[আরও পড়ুন: ‘জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন’, সন্দেশখালি গিয়ে অভিষেকের বার্তা শোনালেন সেচমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement