নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানো কীভাবে সম্ভব? সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র যে আট সদস্যের কমিটি গড়েছিল, সেই কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, এই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রক্রিয়া আসলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। আর এই কমিটি গড়াটা আসলে আইওয়াশ। পুরোটাই আগে থেকে স্থির হয়ে আছে।
এক দেশ এক নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনার সব দিক খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। মোট ৮ সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।কমিটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। যেমন রয়েছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং। তেমনই রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। বিতর্ক এড়াতে কংগ্রেসের (Congress) লোকসভার নেতা হিসাবে অধীরকেও রাখা হয়। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদও রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মিলল সবুজ সংকেত, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা]
কিন্তু কেন্দ্র এই কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই অধীর কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, তিনি এই কমিটির সদস্য হতে চান না। কারণ তাঁর মনে হয়, এই পুরো ব্যাপারটাই ‘আইওয়াশ’। নজর ঘোরানোর চেষ্টা। আর তাছাড়া কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত। তাই কমিটিতে থাকার মানে হয় না। তাছাড়া এক দেশ, এক নির্বাচনের এই পরিকল্পনাও বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি করেছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা।
[আরও পড়ুন: ‘রিভলবারের একটি গুলিই যথেষ্ট’, সৌরভের গ্রেপ্তারিতে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি]
শুধু অধীর নন, দল হিসাবে কংগ্রেসের তরফেও কেন্দ্রের ঘোষিত কমিটির তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে রীতিমতো পত্রবোমা পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, ঠিক কোন যুক্তিতে রাজ্যসভার বর্তমান দলনেতা মল্লিকাঅর্জুন খাড়গেকে বাদ দিয়ে প্রাক্তন দলনেতা গুলাম নবি আজাদকে নেওয়া হল? খাড়গে দলিত বলেই কি আপত্তি বিজেপি-আরএসএসের?