বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। রাজ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়ালেও বিজেপি বারবার নিশানা করছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি নিয়ে ওঠা অভিযোগের প্রতিবাদে সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
এদিন আক্ষেপের সুরে অধীরবাবু বলেন, “সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার জয় করে বাংলাকে যিনি বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচিত করালেন, গর্বিত করলেন, তাঁকে বাংলার মাটি থেকে ‘জমিচোর’ আখ্যা পেতে হচ্ছে। বাঙালি কবে মানুষ হবে? এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে প্রশ্নের ভঙ্গিতে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “জগৎবিখ্যাত বাংলার অলংকারকে যাঁরা অপমান করছে তাঁরা বাংলাকে সোনায় মুড়ে ফেলবে?” ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “শুধু নিন্দা নয়, এই আচরণের ঘৃণাভরে প্রতিবাদ করছি।”
[আরও পড়ুন: ‘অরূপ কিংবা রাজীব, কেউ একজন যোগ দেবেন বিজেপিতে’, সৌমিত্র খাঁর মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে]
বিশ্বভারতীর জমি সমস্যা দীর্ঘদিনের। মাস কয়েক আগে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নিজেদের জমি নিজেদের দখলে আনতে তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতীয়। দেখা গিয়েছে, পূর্বপল্লি, দক্ষিণপল্লি, আশ্রম এলাকায় ৭৭টি প্লটের মধ্যে ১২টি প্লট মাত্র বিশ্বভারতীর নামে রেজিস্টার্ড রয়েছে। বাকিগুলি বিশ্বভারতীর নামে নেই। কিন্তু কেন? ১৯৩১-৩২ এবং ১৯৩৩ সালে পূর্বপল্লি, দক্ষিণপল্লির প্লটগুলি সেসময় বিশ্বভারতীতে কর্মরত অধ্যাপক, কর্মীদের ৯৯ বছরের লিজ দেওয়া হয়ে ছিল। তারপর থেকে এসব প্লটে সেই অধ্যাপক, কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন। ওই প্লট বসবাসকারীদের নামেই রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সেভাবেই জটিলতা দেখা গিয়েছে অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ বাড়ি নিয়েও। যা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বেড়েছে। এবিষয়ে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তবে ক্রমাগত নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি।