সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশোকনগর ভ্যাকসিন কাণ্ড (Ashoknagar Vaccine case) নিয়ে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন জেলাশাসক। শুক্রবার জেলাশাসকের দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। এদিকে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সেই ছবি দেখা গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে (Ashoknagar)। ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার অনলাইনে অনেকেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার স্লট বুক করেছিলেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে যান তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা জানান, অনলাইনে যারা স্লট বুক করেছেন, তাঁদের কাউকেই টিকা দেওয়া হবে না। বুধবার বহু মানুষকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তারাই পাবেন টিকা।
[আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম-ঘাটালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অনলাইনে আবেদনকারীরা। দাবি করেন, ভ্যাকসিন দিতেই হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার এক কো-অর্ডিনেটর। তাঁকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের তরফে জানানো হয়, অনলাইনে স্লট বুক করেছেন যারা, তারা টিকা পাবেন না। এরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষুব্ধরা। পুলিশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বচসায়। এরপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আটক করা হয় দু’জনকে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অশোকনগর থানার এএসআই মধুসূদন তরফদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদনকারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হল না কেন? নির্বিচারে পুলিশ কেন লাঠিচার্জ করল? তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। আজই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন জেলাশাসক।