এটিকে মোহনবাগান: ১ (উইলিয়ামস)
বসুন্ধরা কিংস: ১ (ফার্নান্ডেজ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এএফসি কাপে নকআউটে যেতে হলে এটিকে মোহনাবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রয়োজন ছিল একটা ড্র। মঙ্গলবার সন্ধেয় পিছিয়ে পড়েও সেই কাঙ্খিত ফলই দলকে উপহার দিলেন ডেভিড উইলিয়ামস। আর তার জন্যই গ্রুপ ডি-এর শীর্ষে থেকে নক আউটে পৌঁছে গেল হাবাসের দল।
২০১৬ সালের এএফসি কাপের (AFC Cup) স্মৃতি উসকে দিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেবার টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত ছিল তারা। এবারও প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ধরা দিয়েছেন হাবাসের ছেলেরা। প্রথমে বেঙ্গালুরু এফসি, পরে মালদ্বীপের মাজিয়া এফসি। পরপর দুটো দলের বিরুদ্ধে জিতে রীতিমতো টগবগ করে ফুটছিলেন রয় কৃষ্ণরা (Roy Krishna)। তবে কার্ড সমস্যায় এদিন ছিলেন না সবুজ-মেরুনের সেরা মিডফিল্ডার হুগো বুমোস। তাই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসকে সমীহ করেই ছেলেদের মাঠে নামিয়েছিলেন হাবাস। তবে রয় কৃষ্ণকে মার্কিং করার পাশাপাশি শুরু থেকেই আক্রমণের পথে হাঁটেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। যার দৌলতে ২৮ মিনিটেই খুলে যায় গোলমুখ। অমরিন্দর সিংকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্ডেজ। গোলের কারিগর অবশ্য সেই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনহো।
[আরও পড়ুন: মহিলা ফুটবলারদের শরীর নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতির, তুঙ্গে বিতর্ক]
তবে প্রথমার্ধের শেষেই ঘটে বিপত্তি। শুভাশিসের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সুশান্ত ত্রিপুরাকে। দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনে খেলা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে বসুন্ধরার কাছে। সেই সুযোগেই পার্থক্য গড়ে দিলেন উইলিয়ামস। কোলাসোর দুর্দান্ত পাস থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এরপরও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তবে গোল মিস করায় এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়েন রয় কৃষ্ণরা।
ড্রয়ের লক্ষ্যে নেমে ড্র করেই সেমিফাইনালে যাওয়ায় লক্ষ্যপূরণ হল হাবাস বাহিনীর। নকআউটে সেন্ট্রাল জোনের চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে খেলবে এটিকে মোহনবাগান।