কৃশানু মজুমদার: একটা সময় মোহনবাগান জার্সিতে ময়দানের একজন হয়ে উঠেছিলেন বিমল মাগার। আবার মহামেডান স্পোর্টিং কিংবা টালিগঞ্জ এফসির হয়ে কলকাতা ফুটবলের চেনা মুখে পরিণত হয়েছিলেন করিম ওমোলাজা। এই দুই তারকাই এবার নেপালের দলের হয়ে নামতে চলেছে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে।
বুধবার এএফসি কাপের অভিযান মোহনবাগানের। দক্ষিণাঞ্চল পর্বের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের প্রতিপক্ষ নেপালের মাছিন্দ্রা এফসি (Machuindra FC)। নেপালের দলটি ৩-২ গোলে ভুটানের পারো এফসি-কে হারিয়ে কলকাতায় এসেছে। আর সেই দলেই রয়েছেন এককালে কলকাতা ময়দানের দুই চেনা মুখ। বিমল মাগার। ২০১৭-১৮ সালে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) জার্সিতে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন। অল্প সময়ের জন্য থাকলেও তৎকালীন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীর নজর কেড়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে নামবেন শুনে প্রাক্তন বাগান কোচ বললেন, “হ্যাঁ, ওয়কে মনে আছে। ভাল ব্যবহার ছিল ছেলেটার। খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিল। বেশি সুযোগ দিতে পারিনি। তারপর তো চলেও গেল।” সেই বিমল এবার নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে কেমন পারফর্ম করেন, সেদিকে নিশ্চিতভাবেই নজর থাকবে যুবভারতীর।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস থেকে ৫০ টাকাতেই মিলবে ‘মহার্ঘ’ টমেটো! সুখবর দিল মোদি সরকার]
এদিকে নেপালের ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে চলা আরও এক ফুটবলার করিম কিন্তু এশহরের ময়দানকে বেশ ভালভাবেই চেনে। ফুটবল নিয়ে এ শহরের উত্তেজনা, মোহনবাগানের প্রতি সমর্থকদের আবেগ, সবটার সঙ্গেই পরিচিত তিনি। নাইজেরীয় ডিফেন্ডার ২০১৫ সালে খেলেছিলেন সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে। এরপর মিনার্ভা পাঞ্জাব, টালিগঞ্জ অগ্রগামী, আইজল, এরিয়ানের মতো কলকাতা এবং ভারতের বিভিন্ন ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। এবার নেপালের জার্সিতে ফেরান্দোর দলের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই তাঁর। কারণ খাতায় কলমে খানিকটা হলেও এগিয়ে মোহনবাগান।
তবে খেলাটা যে শুধুই মাঠের, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে। ফেভারিট হিসেবে নেমেও পরাস্ত মোহনবাগান। হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়েছেন কোচ ফেরান্দো। যদিও সেসব হতাশা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে এএফসি কাপের ম্যাচকেই পাখির চোখ করছেন সবুজ-মেরুন কোচ।