সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’দশকের লড়াই শেষে ফিরে যাচ্ছে ক্লান্ত মার্কিন ফৌজ। আফগানিস্তানে (Afghanistan) আবারও দুর্নিবার গতিতে কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে রীতিমতো আশঙ্কার দিন গুনছে ভারত। সূত্রের খবর, এবার আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: ফের যুদ্ধের ডঙ্কা! ইজরায়েলী গোলায় প্রাণ গেল প্যালেস্তাইনের যুবকের]
প্রায় দুই দশক আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জেহাদি হামলার পর আফগানিস্তানে হানা দেয় মার্কিন ফৌজ। আফগান মিলিশিয়াগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাবুল থেকে তালিবান (Taliban) শাসকদের বিতারিত করে আমেরিকা। ওই লড়াইয়ে বিধ্বস্ত দেশটিকে ফের গড়ে তুলতে শুরু হয় আন্তর্জাতিক প্রয়াস। সেখানে অংশ নেয় ভারতও। সে দেশে পরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ভারতীয় ফৌজ। কিন্তু দু’দশক লড়াই করেও তালিবানকে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সে দেশ থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর জওয়ানরা চলে যাবেন। এহেন সময়ে তালিবানের কাবুল দখল সময়ের অপেক্ষা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যে হেরাত ও জলালাবাদের ইন্ডিয়ান কনসুলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কান্দাহার ও মাজারেও কনসুলেট রয়েছে ভারতের। সেখানে অন্তত ৫০০জন কর্মী কাজ করেন। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসেও বহু কর্মী রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদি সরকারের কাছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এক সতর্কবার্তা জারি করে কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। সেখানে বলা হয়েছে, অপহরণ করা হতে পারে ভারতীয় নাগরিকদের। ফলে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। উদ্বেগ উসকে দূতাবাসের জারি করা সতর্কবার্তায় স্পষ্ট জানানো হয় যে আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাদের নিশানায় রয়েছে সেনাবাহিনী, সরকারি দপ্তর ও সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ভাবার কোনও কারণ নেই। বিশেষ করে অপহরণের ভয় রয়েছে। তাই সে দেশে কর্মরত বা ঘুরতে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে । শুধু তাই নয়, নির্দেশিকায় ভারতীয়দের অপ্রয়োজনীয় সফর না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মিলিটারি কনভয় বা সেনা চৌকি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।