সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাঘাতের আতঙ্কে কাঁপছে 'সন্ত্রাসের দেশ'। পহেলগাঁওয়ে নিরস্ত্র পর্যটকদের হত্যায় প্রত্যক্ষ মদতদাতা যে পাকিস্তান তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যে কোনও মুহূর্তে ইসলামাবাদের বুকে নেমে আসতে পারে ভারতের মৃত্যুবাণ। এহেন ডামাডোলের মাঝেই নিখোঁজ পহেলগাঁও হামলার 'ইন্ধনদাতা' পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি নাকি পাকিস্তান ছেড়ে সপরিবারে বিদেশ পালিয়েছেন।
পহেলগাঁও কাণ্ডের (Pahalgam Terror Attack) পর মুনির এভাবে 'অদৃশ্য' হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সোশাল মিডিয়াতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক প্রতিবেদন দাবি করেছে, যুদ্ধের সম্ভাবনা শুরু হতেই ভয়ে লুকিয়েছেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান। তাঁর রণহুঙ্কার পেটের ভিতর সেঁধিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোথায় গেলেন পাকিস্তানের আর্মি জেনারেল? প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তিনি হামলার ভয়ে রাওয়ালপিন্ডির একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি দাবি উঠছে সপরিবারে পাকিস্তান ছেড়ে বিদেশ পালিয়েছেন মুনির। পাক সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি আরও দাবি উঠছে, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত। সেই ভয়ে প্রাণে বাঁচতে পাক সেনায় গণইস্তফা শুরু হয়েছে। দেশের অন্দরে এই জল্পনা এতটাই চরম আকার নিয়েছে যে, এই বিষয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। দেশের সেনাপ্রধান যে পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যাননি তার প্রমাণ দিতে গত রবিবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন শাহবাজ শরিফ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাবোটাবাদে সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী। ছবির ক্যাপসনে ছবি তোলার দিন উল্লেখ করেছেন শাহবাজ, '২৬শে এপ্রিল ২০২৫, অ্যাবোটাবাদে।' অর্থাৎ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মুনির পালিয়ে যাননি।
তবে পরিস্থিতি যাই হোক, ২৬ মৃত্যুর বদলায় ভারত কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিতেই ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের। পহেলগাঁও হামলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। অন্যান্য বারের মতো এবারও জঙ্গি হামলার দায় অস্বীকার করেছে তারা। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরু হলে তাঁদের পাশে থাকার জন্য বন্ধু চিনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে পাকিস্তান। এরইমাঝে পাক সেনাপ্রধানকে নিয়ে এই জল্পনা আরও স্পষ্ট করে দিল কতখানি আতঙ্কে ইসলামাবাদ।