সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিহত তালিবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিলুর রহমান হাক্কানি। মৃত্যু হয়েছে তার দুই সঙ্গীও বলে খবর। রাজধানীর মন্ত্রকে হওয়া এই বোমা হামলার নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি ইসলামিক স্টেট (আইএস)- এর হাত রয়েছে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতও। কারণ, আফাগানিস্তানের কুখ্যাত জেহাদি সংগঠন 'হাক্কানি নেটওয়ার্কে'র অন্যতম মাথা নিহত খলিল হাক্কানি। শুধু তাই নয়, সংগঠনটির প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি সম্পর্কে কাকা এই জঙ্গিনেতা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিস্তর প্রভাব রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের উপর। জম্মু ও কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে মদত জোগায় হাক্কানিরা।
রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবার কাবুলের মন্ত্রকে বিস্ফোরণটি ঘটে। খলিল হাক্কানি ও তার দুই সঙ্গী ছাড়াও প্রাণ হারিয়েছে আরও তিনজন। সংবাদমাধ্যমের তালিবানি মন্ত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তার ভাইপো আনাস হাক্কানি। দুঃখপ্রকাশ করে সে বলে, "আমরা এক সাহসী মুজাহিদকে হারালাম। আমরা কখনও তার আত্মত্যাগ ভুলব না।" প্রসঙ্গত, 'পবিত্র যোদ্ধা' বোঝাতে তালিবানরা মুজাহিদ শব্দের ব্যবহার করে। তবে এখনও পর্যন্ত কাবুলের এই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করলে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পর থেকে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আফগানদের জীবন। অন্যদিকে, তালিবানদের সঙ্গে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে আইএস। ফলে এই বিস্ফোরণের পিছনে তাদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এদিকে, হাক্কানিদের নিয়ে তালিবানের অন্দরেই চরম অসন্তোষ রয়েছে। অনেক তালিবানিরাই মনে করে হাক্কানিরা অত্যন্ত নৃশংস। তাই তাদের কার্যকলাপে হ্রাস টানতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চলছে। ফলে এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। এই হাক্কানি নেটওয়ার্কে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা, পাকিস্তানও। কিন্তু পাকসেনায় হাক্কানি আঁতাত সর্বজনবিদিত। ফলে আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে নজর রয়েছে নয়াদিল্লির।