সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগাল্যান্ডে লাগাতার বিক্ষোভ, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির দীর্ঘদিনের দাবি, এবং জোটসঙ্গীদের চাপে AFSPA নিয়ে সুর নরম করল কেন্দ্র। একই সঙ্গে নাগাল্যান্ড, অসম এবং মণিপুরে কমল বিতর্কিত সেনার বিশেষ অধিকার আইনের আওতায় থাকা এলাকার পরিমাণ। বৃহস্পতিবার টুইট করে একথা জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রের দাবি, মোদি সরকারের ‘লুক ইস্ট নীতি’র সুবাদে উত্তর পূর্ব ভারতে শান্তি ফিরছে। সেকারণেই AFSPA’র প্রভাব কমানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করে জানান,”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সুযোগ্য নেতৃত্বে উত্তরপূর্বের তিন রাজ্য নাগাল্যান্ড, অসম এবং মণিপুরে AFSPA’র অধীনে উপদ্রুত এলাকার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দায়বদ্ধতার জোরেই আজ উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি ফিরে এসেছে এবং বেনজির উন্নয়ন যোগ্য চলছে।” অমিত শাহ জানিয়েছেন, “কেন্দ্র সরকারের লাগাতার চেষ্টায় উত্তরপূর্ব ভারত শান্ত হচ্ছে। সেকারণেই আফস্পার ভৌগলিক এলাকা কমানো সম্ভব হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘আবার আসবেন’, রাজ্যসভার ৭২ সাংসদের বিদায় সংবর্ধনায় আবেগপ্রবণ মোদি]
গত বছর ডিসেম্বরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের গুলিতে ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পর থেকে নাগাল্যান্ডে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জোরাল হচ্ছে। সেখানকার স্থানীয় কিছু মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পথে নেমেছেন সাধারণ নাগরিকরা। এমনকী খোদ নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর সরকার কেন্দ্রের কাছে আরজি জানিয়েছে, যাতে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করা হয়। নাগাল্যান্ড (Nagaland) বিধানসভায় আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দলিত নির্যাতনে শীর্ষে যোগীরাজ্যই, সংসদে জানাল কেন্দ্র]
সদ্য মণিপুরের যে নির্বাচন হয়েছে তাতেও অন্যতম ইস্যু ছিল আফস্পা। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের চাপে বিজেপিও মণিপুরে আফস্পার প্রভাব কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বস্তুত অসম-সহ গোটা উত্তরপূর্ব ভারতেই বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠছে। অবশেষে সেই দাবি আংশিকভাবে মানল সরকার। যদিও ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই ভাবে উপদ্রুত এলাকার পরিমাণ বাড়ানো বা কমানোটা একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্থানীয় স্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে অনেক সময় AFSPA’র আওতায় থাকা এলাকার পরিমাণ কমানো বা বাড়ানো হয়। তবে, এই এলাকা কমানোটা উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত।