সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar) শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। এই ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। যত সময় যাচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে। শ্রদ্ধার পরিচিত এক সমাজকর্মীর দাবি, শ্রদ্ধাকে আমিষ খেতে জোর করত আফতাব। এবং না খেতে চাইলে মারধরও করত।
পুনম বিদলানি নামের ওই সমাজকর্মীর দাবি, শ্রদ্ধা তাঁর কাছে অন্তত তিনবার সাহায্য় চেয়েছিলেন। এমনকী একবার তাঁরা থানাতেও গিয়েছিলেন। শ্রদ্ধা নাকি এফআইআর করতেও রাজি ছিলেন। আফতাব তাঁকে মারধর করায় তিনি আর ওর সঙ্গে থাকবেন না, বাপের বাড়িতে ফিরে যাবেন এই দাবিও নাকি করেছিলেন শ্রদ্ধা। পরে আফতাবের মা-বাবা নাকি শ্রদ্ধাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করেছিলেন। জানাচ্ছেন পুনম। তাঁর কথায়, ”একবার শ্রদ্ধা যখন আমার কাছে এল, ওর কপাল, গাল ও ঘাড়ে ক্ষতচিহ্ন ছিল। যেন কেউ ওর গলা টিপে ধরেছে। সেই সময় শ্রদ্ধা আমাকে বলেছিল, একদিন আফতাব ওকে মেরে ফেলবে, যদি ওখান থেকে বেরতে না পারে।”
[আরও পড়ুন: জল খেয়েছেন দলিত মহিলা, কেরলে গোমূত্র দিয়ে আস্ত ট্যাংক পরিষ্কার করল উচ্চবর্ণের লোকেরা]
শ্রদ্ধাকে তিনি কাউন্সেলিং করেছিলেন বলে জানাচ্ছেন পুনম। তাঁর দাবি, শ্রদ্ধা ও আফতাব ছিলেন একেবারেই পরস্পরের বিপরীত মেরুর। কিন্তু এত অমিল ও অশান্তির পরও কেন শ্রদ্ধা আফতাবকে ত্যাগ করেননি? এর উত্তরে পুনম জানাচ্ছেন, আফতাবের মা-বাবা তাঁকে অনেক করে বুঝিয়েছিলেন। আর তাই শেষ পর্যন্ত নিজের লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেননি হতভাগ্য তরুণী।
উল্লেখ্য, প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল প্রেমিক আফতাব। ১৮ দিন ধরে সে এই কাজ করে। শ্রদ্ধার ‘অপরাধ’ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে চলে আসেন দিল্লিতে।