সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০০-র বেশি প্রাণহানির পর অবশেষে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। পশ্চিমঘাটকে পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা (ESA) বলে ঘোষণা করার প্রস্তুতি শুরু কেন্দ্রীয় সরকারের। পাশাপাশি ৬ রাজ্যের প্রায় ৫৯ হাজার ৯৪০ বর্গ কিমি এলাকাকে সংবেদনশীল এলাকা বলে ঘোষণা করতে চলেছে সরকার। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ওয়ানরের সেই মৃত্যুপুরীও।
কেন্দ্রের তরফে এই বিশাল এলাকাকে সংরক্ষণের জন্য যে ড্রাফট নোটিফিকেশন জারি হয়েছে তার ৩৭ শতাংশই পশ্চিমঘাট এলাকাভুক্ত। ২০১১ সালে পরিবেশবিদ মাধব গাডমিলের প্যানেলের রিপোর্টে এই সব এলাকাকে সংরক্ষণের (Green Protection) আওতাভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ২০২২ সালেও এমন একটি ড্রাফট জারি হয়েছিল ঠিকই, তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে রিপোর্টের ১৩ বছর পর সরকারের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হল। যদিও পুরনো রিপোর্টে বলা হয়েছিল পশ্চিমঘাটের ৭৫ শতাংশ এলাকাকে গ্রিন প্রোটেকশনের আওতাভুক্ত করতে। কিন্তু তা কমিয়ে বর্তমান ড্রাফটে ৩৭ শতাংশ এলাকাকে ইএসআই-এর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ! সপা নেতার বেকারিতে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ যোগীর]
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানা যাচ্ছে, এই ড্রাফট নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে উচ্চস্তরের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কেরল-সহ বাকি রাজ্যগুলির মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। জানা যাচ্ছে, ওয়ানড় বিপর্যয়ের জেরেই তড়িঘড়ি এই ড্রাফট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কী এই গ্রিন প্রোটেকশন। জানা যাচ্ছে, যে সব এলাকাগুলি ধসপ্রবণ সেই সব এলাকায় জারি করা হয় 'ইকোলজিক্যালি সেনসেটিভ এরিয়া' বা 'ESA'। এর ফলে এখানে কোনওরকম খনন, বালি উত্তোলন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও দূষণ ছড়াতে পারে এমন কোনও কাজ করা যাবে না। পাশাপাশি এই এলাকায় কোনওরকম নির্মাণ কাজেও উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। যদিও শর্তসাপেক্ষে হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প ও কম দূষণ ছড়ায় এমন প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ঋণের বোঝা কমাচ্ছে রাজ্য, তথ্য তুলে ধরে বিধানসভায় দাবি চন্দ্রিমার]
কেন্দ্রের এই ড্রাফটে যে ৬টি রাজ্যের উল্লেখ রয়েছে তা হল গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং পশ্চিমঘাট এলাকা বিশিষ্ট কর্নাটক, কেরল ও তামিলনাড়ু। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই এই ৬টি রাজ্যের ৫৯ হাজার ৯৪০ বর্গ কিমি এলাকাকে সংবেদনশীল এলাকা বলে ঘোষণা করতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সরকার কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে সম্মত হলে এই সব রাজ্যের সংশ্লিষ্ট এলাকাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইএসএ বা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা বলে গণ্য করা হবে।