সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীর জন্য নয়, খুব শিগগির মারণ তাপমাত্রর কারণে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'ই হবে একমাত্র কর্মপদ্ধতি। উষ্ণায়নের পৃথিবীতে পথে বেরনো যাবে না। বেরলেই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী! এমন আশঙ্কাই তৈরি হচ্ছে ২৯ মে বুধবার দিল্লির (Delhi) তাপমাত্র দেখার পর। পারদ চড়েছে ৫২.৩ ডিগ্রিতে। যা দেশের সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তবে কিনা ভয়ংকর রেকর্ডের পরেই সদয় হয়েছে প্রকৃতি। স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে রাজধানীতে। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপামাত্রা থেকে মাত্র ৪.৪ ডিগ্রি পিছনে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীর দূষণের দিকে তাকিয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতে নাম্বার ওয়ান হবেই দিল্লি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলছে, ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী হয় পৃথিবী। পাশাপাশি ১৯২২ সালে উত্তর আফ্রিকার দেশে লিবিয়ার গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রকেও এযাবৎ সর্বোচ্চ মনে করা হয়। পারদ চড়েছিল ৫৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ১৯১৩ এবং ১৯২২-এর রেকর্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নথিবদ্ধ পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী হয় আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের কুখ্যাত ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যু উপত্যকা। যেখানে শীত ও গ্রীষ্ম দুই চরম। মানুষের বাসযোগ্য নয়। সেবার ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা পৌঁছয় ৫৬.৭ ডিগ্রিতে।
[আরও পড়ুন: পোর্শেকাণ্ডে ধৃত ফরেন্সিক প্রধান কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত! অপসারিতও হন]
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২.৩ ডিগ্রি। অর্থাৎ ডেথ ভ্যালির তুলনায় রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৪.৪ ডিগ্রি কম। তবে কিনা আপাতত পারদ চড়ার সম্ভাবনা নেই। দেশের সর্বকালীন রেকর্ড গড়েই বৃষ্টি নেমেছে দিল্লিতে। তেষ্টায় বুকফাটা চাতক পাখির মতো যার অপেক্ষায় ছিল দিল্লিবাসী।