সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার কথা অমান্য করে বিয়ে করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বরেলির বিজেপি বিধায়ক রাজীব মিশ্রর মেয়ে সাক্ষী। এর জেরে তাঁকে ও তাঁর স্বামী অজিতেশকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। মামলা করেন আদালতেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই তুলকালাম চলছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। এর মাঝেই পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানালেন উত্তরপ্রদেশের দুই দম্পতি। মোবাইলে সেই আবেদনের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার পরেই ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
[আরও পড়ুন: সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের!]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ভিডিওটিতে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা মেহরাজ ও তাঁর স্বামী মাশুক আলি। মেহরাজের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে মাশুক আলির দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাঁরা বিয়ে করেছেন। কিন্তু, বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে মেহরাজের পরিবারকে। তবে শুধু তাঁকে বা তাঁর স্বামীকে নয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে মাশুক আলির পরিবারকেও। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। তাই পুলিশের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।
এপ্রসঙ্গে মোরাদাবাদের পুলিশ সুপার অঙ্কিত মিত্তল বলেন, “ইতিমধ্যেই মেহরাজের বাবা তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে মেয়েটি ও ছেলেটির বয়স কত জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ওই দম্পতির দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে তাঁদের নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা করব আমরা।”
অন্যদিকে এই ধরনের আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন বদায়ুঁর এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। সেখানেও মেয়েটি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিজের পরিবারের দিকে। বাড়ির অমতে বিয়ে করায় তাঁদের ও তাঁর স্বামীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। তিনি নিজেদের বাঁচাতে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পেট ব্যথার দাওয়াই কন্ডোম! প্রেসক্রিপশন দেখে হতবাক রোগী]
বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বদায়ুঁর পুলিশ সুপার অশোক ত্রিপাঠী। তাঁর কথায়, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই দম্পতির সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ।
The post বাড়ির অমতে বিয়ের জের, হুমকি পেয়ে ফের পুলিশের দ্বারস্থ উত্তরপ্রদেশের দুই দম্পতি appeared first on Sangbad Pratidin.