সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ পাঁচ বছরেরে স্টেডি রিলেশন ভেঙে গিয়েছে৷ টলিপাড়ায় রাজ-মিমি জুটির সম্পর্কে ইতি পড়েছে৷ কিন্তু এ সব সত্ত্বেও বেশ সুখী মিমি চক্রবর্তী৷ কিন্তু কাকে পাশে পেয়ে এমন বিচ্ছেদের দিনেও খুশির হাওয়া মিমির মনে?
একসময় টলিপাড়ায় পোক্ত জুটি ছিলেন রাজ ও মিমি৷ কিন্তু সময় গড়াতেই সেখানেও চিড় ধরেছে৷ শোনা গিয়েছিল, তুরস্কে বিরসা দাশগুপ্তর ছবির শুটিংয়ের সময়, লাইন প্রোডিউসরের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি৷ যদিও তিনি বলেছেন, সম্পর্ক ছিল নেহাতই বন্ধুত্বের৷ কিন্তু বিশ্বাস করেননি রাজ৷ অবশ্য রাজের পক্ষেও বিশ্বাস না করার যুক্তি আছে৷ যে মিমিকে তিনি এতদিন চিনে এসেছেন, সেই মিমিকে তিনি নাকি ইদানিং চিনতে পারছিলেন না৷ হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে চাইলে মিমির থেকে উত্তর আসত না৷ যোগাযোগ ক্রমশ কমে আসছিল শেষ এক বছরে৷ এমনকী রাজের মায়ের অসুস্থতার খবরেও নির্বিকার ছিলেন মিমি৷ এরপরেই তাঁর সন্দেহ গাঢ় হয়৷ খোঁজখবর নিয়ে রাজ জানতে পারেন, মিমির জীবনে এসেছে নতুন পুরুষ৷ আর তারপরই সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
বিচ্ছেদের এই দিনেও কিন্তু মিমি বেশ খুশি৷ কেননা পাশে পেয়েছেন বন্ধুকে৷ তিনি আর কেউ নন, টলিপাড়ারই অপর নায়িকা নুসরত৷ সম্প্রতি নুসরতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মিমি৷ আর তাঁর ক্যাপশনে যা লিখেছেন তার সারকথা এই, জীবনে অনেক ভাঙাগড়ার পরেও সুখী হওয়ার কিছু কারণ থাকে৷ তা হল নির্ভেজাল বন্ধুতা৷ খাঁটি বন্ধুই দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়ায়, তারপর হইহই করে ভুলিয়ে দেয় সবকিছু৷ মিমির পাশেও বোধহয় সেভাবেই এসে দাঁড়িয়েছেন নুসরত৷ আর তাই বিচ্ছেদের মেঘ যতই থাকুক, বন্ধু পাশে থাকাই মানে খুশির রোদ্দুর৷ সেই রোদ্দুরের ঝিলিকই যেন ছড়িয়ে পড়েছে মিমির পোস্টে ও ছবিতে৷ সম্পর্কের জুটিটা ভেঙেছে, কিন্তু বন্ধুত্বের এ জোড়ি আটুট থাকুক-টলিপাড়ার এ ছবি দেখে সকলের আশা এটাই৷
The post বিচ্ছেদের পর কাকে পাশে পেয়ে সুখী মিমি? appeared first on Sangbad Pratidin.