সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনোনয়ন বাতিলের পর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। কিন্তু তাঁর আবেদন গ্রহণই করলেন না বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সকালে আবেদন খারিজের পর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার দ্বিতীয় দফায় বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না বলেই জানান বিচারপতি। দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান, "এই মামলায় হস্তক্ষেপ করব না।"
ঠিক ভোটের মুখে বাতিল হয়ে যায় দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। IPS ছিলেন তিনি। পুলিশের চাকরির ছাড়ার সময় রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র পাননি। অথচ মনোনয়ন দাখিলের সময় সেই ছাড়পত্র জমা দেওয়া আবশ্যিক। রাজ্যের সেই ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হল বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। ইঙ্গিতটা মিলেছিল গত ২৩ এপ্রিল। সেদিন বীরভূমে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই সাফ জানিয়েছিলেন, সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য। অথচ মনোনয়নপত্র জমার সময় সেই ছাড়পত্র জমা করা দরকার বলেই খবর। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় তাঁর।
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনের মতোই হাল আপনার সঙ্গেও হতে পারে! রচনার ছবি দিয়ে এবার পোস্টার হুগলিতে]
আগেভাগেই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রাখে বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্য নামে বিকল্প প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়ন বাতিলের পর কলকাতা হাই কোটের দ্বারস্থ হন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। তবে তাঁর আবেদন গ্রহণই করলেন না বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।