সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগেই খবরে এসেছিল মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি কলেজে। পড়ুয়ারা যার পর আদালতের দ্বারস্থ হয়। এবার নতুন করে নোটিস টাঙিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে টর্ন (ছেঁড়া) জিন্স, টি-শার্ট পরাও নিষিদ্ধ করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্যনগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই কাণ্ডে পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আদালতের দ্বারস্থ হন একদল পড়ুয়া।
বিতর্কের কেন্দ্রে এন জি আচার্য এবং ডি কে মারাঠে কলেজ। গত ২৭ জুন চেম্বুর ট্রম্বে এডুকেশন সোসাইটির অধীনের এই কলেজ ক্যাম্পাসে বোরখা, হিজাব, নাকাব, স্টোল, টুপি, ব্যাজ নিষিদ্ধ করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ৯ জন ছাত্রী। ওই পিটিশনে তাঁরা অভিযোগ করেন, স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক, বিকৃত মানসিকতার নিয়ম লাগু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও বিচারপতি এ এস চন্দুরকর এবং রাজেশ পাটিলের ডিভিশন জানিয়ে দেয়, কলেজের সিদ্ধান্তে নাক গলাতে আগ্রহী নয় আদালত। মামলা খারিজ করেন দুই বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ৮ হাজার টাকা না দেওয়ায় বৃদ্ধকে অর্ধনগ্ন করে মারধরের চেষ্টা, গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাল পুলিশ]
এর পর বুধবার নতুন নোটিস টাঙিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবারে বলা হয়েছে যে ক্যাম্পাসে টর্ন (ছেঁড়া) জিন্স, টি-শার্ট পরা যাবে না। এন জি আচার্য এবং ডি কে মারাঠে কলেজের তরফে বলা হয়, ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ুয়াদের 'ফরমাল' এবং শালীন পোশাক পরতে হবে। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, "ক্যাম্পাসে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের 'ফরমাল' ও শালীন পোশাক পরতে হবে। তাঁরা হাফ শার্ট বা ফুল শার্ট এবং ট্রাউজার পরতে পারেন। মেয়েরা ভারতীয় ও ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে পারেন।" আরও বলা হয়েছে, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এমন কোনও পোশাক পরবেন না যা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্যকে চিহ্নিত করে। জিন্স, টি-শার্ট, জার্সিও ক্যাম্পাসে অনুমোদিত নয়।"
[আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে রাজ্যের গণপিটুনি বিল আটকে রাজভবনে! কী বলছেন রাজ্যপাল?]
কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ অখুশি। বুধবার একদল পড়ুয়া জানান, তাঁরা নতুন নোটিসের কথা জানতেন না। জিন্স-টিশার্ট পরে আসায় কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। বিতর্কের মধ্যে কলেজে কর্তৃপক্ষের সাফাই, পোশাক বিধি সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যে। হিজাব, বোরখা নিষিদ্ধ করার সঙ্গে মুসলিম বিরোধিতার সম্পর্ক নেই।