সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবতী ওরফে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি দেখিয়েছিল রাজস্থানের হিন্দু সংগঠনগুলি। ছবির নাম বদল থেকে বিভিন্ন দৃশ্যে পরিবর্তন, অনেকরকম চেষ্টা করেও তাদের ক্ষোভ কমানো যায়নি। তাই শেষমেশ সে রাজ্যে এই ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তই নেয় সরকার। এবার একই পথে হাঁটল হিমাচল প্রদেশও।
[ফেরার মালিয়া, তবু সাহসী মডেলরা মাতালেন নয়া কিংফিশার ক্যালেন্ডার]
কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলির কাছে এবার মাথা নত করল হিমাচল সরকারও। সংগঠনগুলি লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে, সে রাজ্যে ছবি মুক্তি পেলে তার ফল ভোগ করতে হবে সকলকেই। পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সে কারণেই ছবি মুক্তি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে আবার সিবিএফসি অফিস ঘেরাও করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে রাজপুত কর্ণি সেনার তরফে। তাদের তরফে বিভিন্ন ধরনের দাবি তোলা হচ্ছে। কখনও গোটা দেশেই ছবির মুক্তি বন্ধ করার কথা বলা হচ্ছে তো কখনও ছবির নামের পাশাপাশি রানি পদ্মীনি চরিত্রটির নামও পালটে দেওয়ার দাবি উঠছে। সবমিলিয়ে ২৫ জানুয়ারি সেন্সর বোর্ড ‘পদ্মাবত’ মুক্তির অনুমতি দিলেও বিভিন্ন রাজ্যে ছবিটির মুক্তি নিয়ে থেকে যাচ্ছে ঘোর ধোঁয়াশা। রাজস্থান ও হিমাচলের মতো আরও কোনও রাজ্য একই সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে।
[রিমেক ছবির জন্য ১০ কোটির পারিশ্রমিক দাবি ঐশ্বর্য!]
উল্লেখ্য, শুটিং শুরুর সময় থেকেই বারে বারে কর্ণি সেনার ক্ষোভের মুখে পড়েছে বনশালির ‘পদ্মাবত’। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে শুটিং সেট পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে পরিচালককে আক্রমণ কিছুই বাদ যায়নি। গত ১ ডিসেম্বর মুক্তির প্রাথমিক দিন ঠিক হলে ফের বিরোধিতায় নামে কর্ণি সেনা। পরিচলকের মাথা কাটা ও দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কাটার হুমকি দেওয়া হয়। এতেও থেমে থাকেনি ওই সংগঠন। ছবি মুক্তি বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় তারা। সুপ্রিম কোর্ট ছবির দায়িত্ব দেয় সিবিএফসি-র হাতে। বিচার বিবেচনা করে ঐতিহাসিকদের একটি বিশেষ বেঞ্চে প্রথমে ছবিটি দেখানো হয়। ছবি দেখার পর বেশ কিছু জায়গায় পরিমার্জন, পরিবর্তন ও সংশোধনের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। সেই মতো পদ্মাবতী হয় পদ্মাবত। কিন্তু তাতেও যে বিক্ষোভ থামানো গেল না, তা ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল হিমাচল প্রদেশের সিদ্ধান্তে।
The post রাজস্থানের পর এবার হিমাচল প্রদেশেও নিষিদ্ধ ‘পদ্মাবত’ appeared first on Sangbad Pratidin.