সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের খুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের প্রাণহানির পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের। বেহালা চৌরাস্তা এবং ডায়মন্ড হারবার রোডে যাননিয়ন্ত্রণে কড়া নজর পুলিশের। এদিকে, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বেহালা চৌরাস্তায় মোট পাঁচটি মুভেবল ড্রপগেট বসানো হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাস্তার একপাশে দড়ি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেডের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার করছেন কিনা, সেদিকে কড়া নজর ট্রাফিকের। নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই উঠতে হচ্ছে বাস, অটোয়। লালবাজারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার সকাল ৬টার পর থেকে কলকাতায় কোনও ট্রাক বা ভারী গাড়ি চলাচল করবে না। প্রত্যেকটি স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক গার্ডের পুলিশই আহত বা দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সরিয়ে ফেলবে। চৌরাস্তায় রাস্তা পারাপারের সুবিধার জন্য ‘বুম ব্যারিয়ারের’ ব্যবস্থাও করা হয়।
[আরও পড়ুন: একই বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় কালাচের বিষাক্ত ছোবল! দম্পতির ‘সহমরণ’]
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় লাল সিগন্যালে প্রথমে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিল দু’টি বাস ও লরি। তার পিছনে একটি ছোট মালবাহী গাড়ি ও তার পিছনে ঘাতক গাড়ি। বাবা সরোজ সরকার তাঁর ছেলে সৌরনীলকে নিয়ে অটো থেকে নেমে সোজা জেব্রা ক্রসিংয়ের দিকে না গিয়ে মালবাহী গাড়ির সামনে দিয়ে ঘাতক ট্রাকটির সামনে আসেন। রাস্তা পার হওয়ার সময়ই তাঁদের পিষে দেয় ট্রাক।
ট্রাকের চালক জয়দেব দত্ত ধরা পড়ার পর দাবি করেছে, সে বুঝতেই পারেনি তার গাড়ির সামনে দিয়ে কেউ রাস্তা পারাপার করছে। সিগন্যাল সবুজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। সে বুঝতেই পারেনি যে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। বরং এগিয়ে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকে জিজ্ঞাসা করে, চৌরাস্তায় কোনও গোলমাল হয়েছে কি না। কোনা এক্সপ্রেস হয়ে বর্ধমানের দিকে যাওয়ার সময়ই সেখানকার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গাড়িটি।