স্টাফ রিপোর্টার: টালার পর এবার চিৎপুরের পালা। টালা ব্রিজ চালুর পরই ভাঙা হবে চিৎপুর ব্রিজ (Chitpur Bridge)। তার আগে ব্রিজের নিচে থাকা বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এই মাসের মধ্যে জমি চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের কাজ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র তথা কেএমডিএর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
সোমবার পুরসভায় চিৎপুর ব্রিজ নিয়ে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে কেএমডিএ-র (KMDA) আধিকারিকদের পাশাপাশি ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, রেল পুলিশ ও ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা। সূত্রে খবর, টালা চালুর পরই চিৎপুর ব্রিজ ভাঙা হবে। এই মাসের মধ্যে সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের কাজ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিনয় মিশ্রর আত্মীয়র সঙ্গে নিজাম প্যালেসে বৈঠক শুভেন্দুর! বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ]
উত্তর কলকাতার পুরনো টালার থেকে বয়স বেশি চিৎপুর ব্রিজের। বর্তমানে এই ব্রিজের স্বাস্থ্য ভাল নয়। টালায় যান চলাচল বন্ধের পর থেকে এই ব্রিজের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। কিন্তু টালা না চালু হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজ ভাঙা যাবে না। ব্রিজের নিচে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার রয়েছে। তরুণ সাহা জানান, বাসিন্দাদের এলাকার মধ্যে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের জন্য দু’টি জায়গা নজরে রয়েছে। তবে সেখানে সকলের পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না। আরও বড় জায়গা খোঁজা হবে। পুনর্বাসনের জন্য রেলের কাছেও জমি চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ। কিন্তু মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর বিপদ এড়াতে পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল রাইটস। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। এরপরই ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় কাজ। ২ বছর ধরে ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ নবপর্যায়ের সেতুটিও মাঝেরহাট ধাঁচে কেবল স্টেড রেলওভার ব্রিজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর মধ্যে ২৪০ মিটার অংশ কেবলের উপরেই শূন্যে ঝুলবে। শুধু তাই নয়, আগে ছিল তিন লেনের সেতু, কিন্তু নয়া ব্রিজটি যেমন চার লেনের হচ্ছে তেমনই দু’পাশেই থাকছে ফুটপাথ।