সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাহরাইচের নরখাদক নেকড়ের আতঙ্ক এবার মধ্যপ্রদেশের খান্দওয়ায়। শুক্রবার রাতে আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় এক মহিলা-সহ ৫ জনের উপর হামলা চালাল নেকড়ে। এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শনিবার নেকড়ে হানার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ইতিমধ্যেই আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
বনদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, যে অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি জেলা সদর দপ্তর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। জঙ্গলঘেরা ওই এলাকায় প্রায়শই বন্য কুকুর, নেকড়ে, শিয়াল দেখা যায়। এই হামলার পর নেকড়েকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দড়ি দিয়ে বাঁধা নেকড়েটি নির্জীব অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও সেটি মারা গিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি বন দপ্তর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে বনদপ্তরের তরফে।
[আরও পড়ুন: ফের বদলাপুর, জন্মদিনের পার্টিতে মাদক খাইয়ে যুবতীকে গণধর্ষণ!]
এদিকে গ্রামবাসীদের উপর নেকড়ের হামলার প্রসঙ্গে বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভোর ৫টা থেকে ৬টা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আগে খান্দওয়া অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে নেকড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটি দল গ্রামে যায়। পাশাপাশি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যায় আরও একটি দল। এই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলা। তাঁর মাথায় কামড় বসিয়েছে নেকড়ে। বাকিদের হাতে কামড় বসিয়েছে। আহতদের চিকিৎসায় সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তা করেছে ভাইপো, অভিযোগ করতেই মহিলার মাথা কামিয়ে মার যোগীরাজ্যে]
এদিকে নেকড়ের আতঙ্কে এখনও তটস্থ উত্তরপ্রদেশ। গত প্রায় দু মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ ও সিতাপুর জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নরখাদক নেকড়ের দল। তাদের হামলায় ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে যার ৮জন শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এই পরিস্থিতিতে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও, ২টি এখনও অধরা। তাদের দৌরাত্ম্যেই অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ২৫টি দল গঠন করার পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার।