সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ক্রৌঞ্চ-মিথুন’ থেকেই নাকি রামায়ণ সৃষ্টির অণুপ্রেরণা পান আদি কবি বাল্মীকি। খাজুরাহোর মন্দিরগুলির গায়ে পাষাণে খোদিত রতিক্রিয়ার দৃশ্য প্রাচীন ভারতের উৎকৃষ্ট ভাস্কর্যের উদাহরণ বলে সকলেই একবাক্য স্বীকার করেন। এহেন দেশেই এবার ‘প্রেম প্রস্তাবের জেরে’ কেদারনাথ মন্দিরে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে খবর।
বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি জানিয়েছে, এবার থেকে মন্দির চত্বরের ভিতরে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। শুধু তাই নয়, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট অজয় অজেন্দ্র জানান, পুণ্যার্থীদের ‘শালীন পোশাক’ পরার আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, বদ্রীনাথ মন্দির থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ‘অশালীন’ আচরেণ অভিযোগ মেলেনি। তাই সেখানে মোবাইল ব্যবহারে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। বলে রাখা ভাল, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দিরের পরিচালনাক দায়িত্বে রয়েছে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় পছন্দের পুরুষকে প্রেম নিবেদন করতে কেদারনাথ মন্দির চত্বরকেই বেছে নেন এক তরুণী। তারপর থেকেই ভিডিওটি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তারপরই কেদারনাথ মন্দিরে মোবাইল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
[আরও পড়ুন: বিরোধী বৈঠকে যোগ দেবেন শরদ পওয়ার? জল্পনার মধ্যেই বেঙ্গালুরুর পথে মমতা, অভিষেক]
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে? যেখানে দেখা গিয়েছে, এক যুগল কেদারনাথ মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দু’জনের পোশাকেও রয়েছে মিল। একজনের পরনে হলুদ রঙের পাঞ্জাবি ও অন্যজনের পরনে হলুদ রঙের শাড়ি। তরুণটি হাতজোড় করে প্রার্থনা করছেন। এর মাঝেই হঠাৎ করে তরুণীটি একটি আংটির বাক্স খুলে হাঁটু মুড়ে তরুণের সামনে বসে পড়েন। তরুণীকে দেখে প্রথমে হতচকিয়ে যায় সেই তরুণ। তারপরই আবেগঘন হয়ে পড়েন দু’জনে। মন্দির প্রাঙ্গনেই গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তরুণীর এই কাণ্ডে আশপাশের লোকজনেরাও অবাক হয়ে যান। অনেকেই গোটা ঘটনা নিজেদের ফোনে রেকর্ড করে নেন।