বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দুই বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLA) সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি। নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে বিধানসভা। ক্রমাগত জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে বাধা দেন বিজেপির বিধায়করা। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভায়।
৭ মার্চ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণের সময় বিজেপির বিক্ষোভের জেরে বুধবার সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির দুই বিধায়ক (BJP MLA) সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে। দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশনেক বিষয়টিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজেপি। বৈঠকে বসেন বিজেপির বিধায়করা। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের জবাবি ভাষণ শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা। নেতৃত্ব ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওঠে স্লোগান। সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গেলে ফের বাধা দেয় বিজেপি বিধায়করা।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়ার ‘শাস্তি’, চলতি অধিবেশনে নির্বাসিত ২ বিজেপি বিধায়ক]
তবে গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা হইচই করলেও বক্তব্য থামাননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “হাউসে বিজেপির মস্তানি চলছে।” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “ওঁরা যত গর্জন করে তত বর্ষায় না। ওরা শুধু বিশৃঙ্খলা করে।”
উল্লেখ্য, এদিন বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলা সবকিছুতে পিছিয়ে ছিল। এখন বাংলা উন্নয়নের শিখরে। রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে ৪ গুণ। ১০০ দিনের কাজে প্রথম আমরা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সবচেয়ে বেশি লগ্নি হয়েছে বাংলায়।। ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দিয়েছি।” ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সাফল্যের হিসেবও দিয়েছেন মমতা। বলেন, “দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮০ হাজার ক্যাম্পে এক কোটির বেশি মানুষ এসেছে। দুয়ারে রেশন চালু করেছি। ২১ হাজার ডিলার রাজ্যবাসীকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন।” উঠে আসে শিল্প, বিনিয়োগর কথাও।