শুভঙ্কর বসু: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে (Primary TET 2014) প্রশ্ন ভুলের জেরে দায়ের হওয়া মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ পর নতুন করে ৭৩৮ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ওই তালিকায় ভুলের স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ওই তালিকায় ত্রুটি রয়েছে। পর্ষদের এই বক্তব্যের পরই বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাদের ব্যাপারে পর্ষদের কী ভাবনা, তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে হবে। এবং পর্ষদের ওয়েবসাইটেও তা আপডেট করতে হবে। যদিও এদিনই নিয়োগ সংক্রান্ত ওই তালিকায় সংশোধনী এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর নথি যাচাই ও ইন্টারভিউয়ের জন্য আসতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর নামে কুকুরকে ডাকেন প্রতিবেশী, রাগের বশে এ কী করলেন স্বামী!]
উল্লেখ্য, ২০১৪ র টেটে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল। যার জেরে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রশ্নগুলি যাচাই করার পর নির্দেশ দেন, যে প্রশ্নগুলি ভুল ছিল সেগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নম্বর দিতে হবে। এবং যদি দেখা যায় নম্বর পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা অন্তর্ভুক্তির শর্ত পূরণ হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নিয়োগ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এই নির্দেশের পরও দীর্ঘদিন নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয় ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন তারা। এরপর অবিলম্বে হাই কোর্ট নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। যা কার্যকর করে ২০ ডিসেম্বর ৭৩৮ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ভুল থাকায় ফের মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি।