সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক চাপ। সেনায় ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণার পরই রীতিমতো কোণঠাসা কেন্দ্র। একপ্রকার বাধ্য হয়েই অগ্নিবীর নিয়োগের পদ্ধতিতে বড়সড় বদল আনল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বাড়িয়ে দেওয়া হল অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা।
প্রথমে অগ্নিবীরদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের নিম্নসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ১৭ বছর। সর্বোচ্চ সীমা করা হয়েছিল ২১ বছর। এমনিতে গোটা অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েই দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। অগ্নিবীর হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের যে প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্যাকেজের কার্যত সব শর্তই নাপসন্দ চাকরিপ্রার্থীদের। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বিশেষ অভিযোগ ছিল তাদের। কারণ দেশের হাজার হাজার যুবক সেনায় চাকরি করার জন্য বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুতি নেন। চাকরি পেতে পেতে অনেকেরই বয়স হয়তো ২১ পেরিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে করোনা! ফের দেশের দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে গেল ১৩ হাজারের কাছাকাছি]
আন্দোলনকারীদের চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় জানিয়েছে, অগ্নিবীরদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হচ্ছে। যদিও নিয়মের এই শিথিলতা শুধু এবছরের জন্য। যারা দীর্ঘদিন ধরে সেনায় যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের কথা ভেবে। পরের বছর থেকে ফের ২১ বছর ঊর্ধ্বসীমা ধরেই নিয়োগ করা হবে অগ্নিবীরদের।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে পাকিস্তান ও চিনের প্রতিনিধি!]
তাতেও অবশ্য বিক্ষোভ কমছে না। শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনায় নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভের খবর আসছে। বিশেষ করে বিহারের ছবি মারাত্মক। এদিন বিহারের মাহিউদ্দিন এবং লখমিনিয়া স্টেশনে একাধিক ট্রেনেও আগুন লাগায় বিক্ষোভকারীরা। বাংলাতেও বিক্ষোভে আঁচ পড়েছে। হাওড়া ব্রিজ, ঠাকুরনগর, ভাটপাড়ার মতো এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম এই প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রকে একটি চিঠিও লিখেছেন। তবে বিরোধী শিবিরের কেউ কেউ কেন্দ্রের পাশেও দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা মণীশ তিওয়ারি। তাঁর বক্তব্য, এই প্রকল্প বড়সড় সংস্কারের পথে প্রথম পদক্ষেপ।