সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য ফের প্রশ্নের মুখে। দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট না করায় ফের বেঁকে বসলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বুঝিয়ে দিলেন, দিল্লির অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট না করলে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকে তাঁর দল আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party ) হাজির থাকবে না।
লোকসভা ভোটের আগে ঐক্যে শান দিতে পাটনার পর আগামী ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বৈঠক বসছে বিরোধীরা। এবারে বৈঠকের আয়োজক কংগ্রেস (Congress)। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় মহাবৈঠকে যে যে রাজ্যে জোট নিয়ে জট নেই, সেই সেই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলির আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। সম্ভবত সেকারণেই ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
[আরও পড়ুন: বুথেই সেরিব্রাল অ্যাটাক, হাসপাতালে মৃত্যু ভোটকর্মীর, কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের]
অথচ, তাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি থাকবে কিনা, সেটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।কেজরিওয়ালের বক্তব্য, পাটনার বৈঠকে কংগ্রেস আশ্বাস দিয়েছিল সংসদ অধিবেশনের ১৫ দিন আগে অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে এবং সংসদেও এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আপ সুপ্রিমো বলছেন,”আমরা কংগ্রেসের তরফে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু কংগ্রেস আশ্বাস দিয়েছিল যে, সংসদের পরবর্তী অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে তারা প্রকাশ্যে এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে।” আপের সাফ বক্তব্য, ৩১ জন সাংসদ নিয়ে কংগ্রেস যদি এই গণতন্ত্র বিরোধী অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা না করে তাহলে কংগ্রেসের উপস্থিতিতে কোনও বৈঠকেই তাঁদের পক্ষে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। অর্থাৎ বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আগে কংগ্রেস যদি প্রকাশ্যে অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা না করে তাহলে আপ যে ওই বৈঠকে যাবে না, সেটা একপ্রকার স্পষ্ট। এর আগে পাটনার বৈঠকেও অর্ডিন্যান্স ইস্যু তুলে ঝামেলা পাকিয়েছিল আপ।
[আরও পড়ুন: খোলা বাজারে বিকোচ্ছেই কচ্ছপ! গাঁটের কড়ি খরচ করে উদ্ধার কলেজ ছাত্রীর]
কিন্তু কংগ্রেসের সমস্যা হল, দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে তাঁদের দলের অন্দরেই দ্বিমত আছে। দিল্লি-পাঞ্জাব-সহ একাধিক প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চায় না যে হাইকম্যান্ড কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াক। আবার জাতীয় দল হিসাবে দিল্লি অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করা নিয়েও দলের অন্দরে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া আপের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে কংগ্রেসও খুব একটা আগ্রহী নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।